বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে কাজে লাগাতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রপতি মুর্মু

অনলাইন ডেস্ক

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বলে জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

- Advertisement -

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ত্যাগের ভিত্তিতে এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে উন্নয়ন অভিযাত্রায় অংশীদার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

- Advertisement -google news follower

মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের ১০০ সদস্যের একটি যুব প্রতিনিধিদরের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই এই চেতনাকে রক্ষা করতে হবে এবং লালন করতে হবে, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে অনন্য বন্ধনকে অনুপ্রাণিত করে।

- Advertisement -islamibank

রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক; কারণ দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে এবং শিল্প, সঙ্গীত, ক্রিকেট এবং খাবারের ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, রবি ঠাকুরের লেখা দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতই গর্বের উৎস। বাউল সঙ্গীত এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচনার প্রতি আমাদের ভালোবাসা অভিন্ন। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্যে আমাদের ঐক্য ও বৈচিত্র্য উদযাপিত হয়।

‘ভারত ও বাংলাদেশ একটি বৃহৎ ও উদ্যমী যুব জনসংখ্যার আবাসস্থল, যাদের বিশ্বকে একটি নতুন রূপ দেয়ার সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে’ উল্লেখ করে মুর্মু এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামী দিনের নেতা হিসেবে সবুজ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলা তরুণদের দায়িত্ব।

যুব প্রতিনিধিদের সফর প্রসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, এখানে তাদের উপস্থিতি শুধু সফর নয়; এটি দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন গড়ে তুলবে। এটি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের স্থায়ী চেতনার প্রমাণ যা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে তুলে ধরছে। এই প্রতিনিধি দলের সদস্যদেরকে সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা হয়েছে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, যেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি নারী এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণকারীরা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি যুব প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন দিক এবং এর বৈচিত্র্য এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে উন্নয়নের অভিজ্ঞতার সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, যেহেতু তারা ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে, সেহেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্যও তাদের সচেষ্ট হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম ২০১২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিল দুটি দেশের তরুণদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা গড়ে তোলা, ধারণার আদান-প্রদান এবং মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপলব্ধি উন্নত করা।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM