অধ্যাপক তাহের হত্যায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। রাত ১০টা ১ মিনিটে এ রায় কার্যকর করা হয়।

- Advertisement -

এর আগে, রাত ৯টা ১৪ মিনিটে কারাগারের পেছনে দক্ষিণ দিকের ফটক দিয়ে কর্মকর্তারা কারাগারে প্রবেশ করেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, চিকিৎসকসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতনরা।

- Advertisement -google news follower

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে একসঙ্গে একই মঞ্চে ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমকে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বাড়িয়ে দেয়া হয়।

- Advertisement -islamibank

গত ১৭ বছর ধরে এ দুই আসামি এ কারাগারেই বন্দি ছিলেন। গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীর ও মহিউদ্দিনের স্বজনদের শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয়। এই হত্যা মামলার তদন্তে উঠে আসে, পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন একই বিভাগের শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চার জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এ ছাড়া দুজনকে খালাস দেন আদালত।
পরে সাজাপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। আপিলে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনরাও দণ্ড কমাতে একের পর এক আইনগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যান।

তবে, সবখানেই দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। সবশেষ জাহাঙ্গীরের ভাই সোহরাব জাহাঙ্গীরের আটকের বৈধতা নিয়ে একটি রিট করেছিলেন। শুনানি শেষে গত ১৭ জুলাই বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রিট খারিজ করে দেন। পরে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চাওয়া হয়। সেই আবেদন মঙ্গলবার সকালে খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM