দেশের জন্য চরম ক্ষতিকর ১৭টি বিদেশী গাছ চিহ্নিত

বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর ১৭টি বিদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিকে চিহ্নিত করেছে বন বিভাগ। এর মধ্যে ৭টি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের ৫টি সংরক্ষতি বনাঞ্চল থেকে এই ক্ষতিকর উদ্ভিত প্রজাতি চিহ্নিত করা হয়।

- Advertisement -

বন অধিদফতরের চলমান টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের আওতায় হিমছড়ি, কাপ্তাই, মধুপুর জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা ও সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে ভিনদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।

- Advertisement -google news follower

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বন অধিদফতরে আয়োজিত ‘ডেভেলপিং বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড লিস্ট অফ প্লান্টস এন্ড ডেভেলপিং ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি অফ এলিয়েন স্পিসিজ অফ প্লান্টস ইন সিলেক্টেড প্রোটেক্টেড এরিয়াস’ শীর্ষক কর্মসূচির চূড়ান্ত কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। এসব ক্ষতিকর বৃক্ষ নিয়ন্ত্রণে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ৫টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমীন।

- Advertisement -islamibank

বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও আইইউসিএন এর সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন এ কার্যক্রমের ফলে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব স্থাপনকারী প্রজাতির বিপণন ও বাণিজ্য প্রতিরোধ, বাস্তুতন্ত্র থেকে এদের নির্মূল এবং বিস্তার রোধের মাধ্যমে এ সকল ভিনদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদসমূহ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাছাড়া, প্রাথমিক সনাক্তকরণ, আমদানিকৃত উদ্ভিদ প্রজাতির জন্য স্ক্রিনিং এবং কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতির মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অর্ন্তভুক্ত করা সহজ হবে।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটির অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই দেশের বিভিন্ন রক্ষিত এলাকায় এবং বনাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা দেশীয় প্রজাতির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার, বাস্তুতন্ত্রের ধারা পরিবর্তন এবং খাদ্য শৃঙ্খলকে ব্যাহত করার ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের ৫১টি রক্ষিত এলাকাসহ দেশের এলাকার ভিনদেশী আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতি সম্পূর্ণরূপে চিহ্নিতকরণ এবং এদের সঠিক ব্যবস্থাপনা কৌঁশল প্রণয়নের মাধ্যমে দেশীয় উদ্ভিদ প্রজাতি এবং বনাঞ্চল সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মশালায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, মধুপুর জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং সুন্দরবন পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এর জন্য প্রণয়নকৃত ৫ টি কৌশলগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় বন বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং দেশের গবেষক ও বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য রাখেন।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM