ডিউটিতেই পুলিশের ঈদ আনন্দ

নানা সমালোচনার মধ্যেও পুলিশের সেবাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বাহিনীটির ২৪ ঘণ্টার সতর্ক চোখ আর চেষ্টাতেই স্বাভাবিক আর নিরাপদ জীবন সম্ভব। আর এ কারণে সাধারণের ঈদ পার্বণ আসে না পুলিশের জীবনে।

- Advertisement -

এই যেমন মোহাম্মদ মহসীন। তিনি নগরের কোতোয়ালির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে বুধবার (৫ জুন) সকালে সতর্ক দৃষ্টি রাখছিলেন যেন কোনো হাঙ্গামা না হয়, যেন কারও নিরাপত্তায় হুমকি না আসে।
ডিউটিতেই পুলিশের ঈদ আনন্দ | 61902227 1326887560793850 5501729539966894080 n

- Advertisement -google news follower

সকাল সাতটা থেকে তার ডিউটি। ঈদের দিন বলে আয়েশ করে ঘুমানোও যায়নি। ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নিত্যদিনের পোশাক পরেই তৈরি হতে হয়েছে ঈদগাহে আসার জন্য। তবে নামাজ পড়তে নয়। সবাই যখন ঈদের নামাজ পড়ছেন তিনি তখন মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত।

আক্ষেপ নিয়েই নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে সকাল ৯টায় লিখেছেন, ‘জামাত শুরু। ঈদও শুরু। সবাই পড়ছে। আমরা দেখছি।’

- Advertisement -islamibank

আর সবার মতোই তারও স্বজনের জন্য মায়া আছে, আছে কাছে যাওয়ার আকুতি, আছে একসঙ্গে বসে ভালোমন্দ খাওয়ার বাসনা। কিন্তু কি আর করা, পেশাটাই এমন যে এখানে আবেগের কোনো স্থান নেই।

নগর উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আব্দুর রউফ। তারও দায়িত্ব পড়েছে জমিয়াতুল ফালাহ এলাকায়। পুলিশের পোশাকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

সারাদেশে এ রকম গল্প প্রায় ৭১ হাজার পুলিশ সদস্যদের। যারা অন্যের ঈদ নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ ঈদগাহে, কেউ সড়কে, কেউ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, কেউ অপরাধী ধরতে কেউ বা অপরাধ ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করছেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন জয়নিউজকে বলেন, ‘পুলিশের চাকরি করি। আমাদের আবার ঈদ আছে নাকি? শহরের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াটাই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয়। আর নিজের ও পরিবারের আনন্দটা গৌণ বিষয়। তখনই ভালো লাগে যখন আমাদের কাজে জনগণ সন্তুষ্ট হয়। তখনই নিজেকে স্বার্থক মনে হয়।’

ঈদে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় বড়ধরনের গোলযোগ হয়নি। সব সব মিলিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট পুলিশও।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সকাল ৯টায় তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। কালামিয়া বাজার জামে মসজিদ। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন সঙ্গে নামাজও আদায়। জনগণের অনুরোধে বক্তব্য। সকলেই মসজিদে মাদকের বিরূদ্ধে অবস্থান করার ওয়াদা। ধন্যবাদ সকলকে।’

নেজাম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, পুলিশের চাকরি অনেকটাই ‘থ্যাংকলেস জবের’ মতো। এটা মেনেই আমরা কাজ জরি। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে এই পেশায় কাজ করা সম্ভব না। চাকরি জীবনের শুরুতে পারিবারিক পরিবেশের জন্য হয়ত মন খারাপ হয়, কিন্তু পরে ধীরে সয়ে যায় সব।

জয়নিউজ/বিশু
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM