রিয়ালের হাতে বিদায় ম্যানসিটির

অনলাইন ডেস্ক

দুর্দান্ত এই ম্যানচেস্টার সিটিই তো গেল বছর রিয়াল মাদ্রিদকে হালি গোলের লজ্জা দিয়েছিল। বছর না ঘুরতেই ফের দুই দলের দেখা হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। এবারও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-৩ গোলের পর ইতিহাদে সিটিকেই ফেবারিট ধরেছিলেন অনেকে।

- Advertisement -

কিন্তু রিয়াল যেন ম্যানসিটির ‘নেমেসিস’, যাকে হারানো প্রায় অসম্ভব। আরও একবার পেপ গার্দিওলা পরাস্ত হলেন রিয়ালের হাতেই। এই নেমেসিসের আরও একটা অর্থ আপনি করতেই পারেন। যে নেমেসিস গ্রিক পুরাণে প্রতিশোধের দেবতা। গেলবারের হতাশার প্রতিশোধই তো এদিন নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

- Advertisement -google news follower

ইতিহাদে আগে কখনোই জেতেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২২ সালের পর থেকে ম্যানসিটিও কখনো হারেনি। স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিটের তকমা নিয়েই নেমেছিলেন পেপ গার্দিওলা। কিন্তু তাকে ভুল প্রমাণ করতে রদ্রিগো গোস সময় নিলেন মোটে ১২ মিনিট। এডারসন মোয়ারেস শুরুতেই তার শট আটকে দিলেও ফিরতি বলে ঠিকই বল জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

লিড নেওয়ার পরেই পুরোপুরি ইতালিয়ান ধাঁচের ফুটবলে মনোযোগ দেন কার্লো অ্যানচেলত্তি। দলকে খেলাতে শুরু করেন রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায়। বিপরীতে টিকিটাকার আদর্শ রূপ দেখায় ম্যানসিটি। তবে বক্সের ভেতর আজও নিষ্প্রভ ছিলেন আর্লিং হালান্ড। বেশ কিছু ক্রসে মাথা ছুঁইয়েছেন বটে, তবে একটি হেড ক্রসবারে লাগা ছাড়া, বলার মতো নেই কিছুই।

- Advertisement -islamibank

তবে হালান্ডের অফফর্মেও আক্রমণ থামেনি। ডি ব্রুইনা, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশ, রদ্রিরা ঠিকই চেপে ধরেছিলেন রিয়ালকে। কিন্তু, রিয়ালের গোলবারের নিচে আন্দ্রে লুনিন ছিলেন অতন্দ্র এক প্রহরী। ইউক্রেন থেকে উঠে আসা এই গোলরক্ষক ছিলেন রিয়ালের তৃতীয় পছন্দ। থিবো কর্তোয়া এবং কেপা আরিজাবালাগার পর ছিল তার জায়গা। কিন্তু কাল নিজের পারফরম্যান্সে বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাকেই এগিয়ে রেখেছেন অ্যানচেলত্তি।

ম্যানসিটি ম্যাচে ফেরে ৭৬ মিনিটে। রুডিগারের বল ক্লিয়ারেন্সের দুর্বলতায় সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইনা। নব্বই মিনিটের খেলা দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতায় শেষ হয়। এরপ অতিরিক্ত আধা ঘণ্টাও যায় একই ব্যবধানে। তবে সময়ে গোলের ভালো সুযোগ মিস করেন জার্মান ডিফেন্ডার রুডিগার। ৬ গজ বক্সের ভেতর নেওয়া শট বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন।

রিয়াল গোলকিপার টাইব্রেকারেই প্রতিহত করেছেন বের্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট। বিপরীতে সিটি গোলকিপার এদেরসন আটকাতে পেরেছেন শুধু লুকা মদরিচের শট। ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে রেকর্ড ১৭তম বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে লস ব্লাঙ্কোসরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM