থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি

অনলাইন ডেস্ক

বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির গোলাগুলি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

- Advertisement -

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি চলছে।

- Advertisement -google news follower

কেএনএফ সন্ত্রাসীরা একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে।

ইউএনও মামুন বলেন, রাত ৯টার দিকে একদল সশস্ত্র লোক এসে থানচি বাজারে গুলি শুরু করে। পরে তারা থানায় গুলি চালায়। পুলিশ আর বিজিবিও পাল্টা গুলি করছে। হাসপাতালের পেছন দিকেও গুলি হচ্ছে। পরিস্থিতিটা আসলে এরকমই।

- Advertisement -islamibank

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে র‌্যাবের মধ্যস্ততায় রুমার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়।

গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ ও আনসারদের আটটি চায়নিজ রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ট রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়।

এরপর কাছের মসজিদেই প্রবেশ করে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে তারাবির নামাজে থাকা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এরপর বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়ে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা।

সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাতে চালাতে ব্যাংক দুটির শাখায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে নগদ টাকা, ব্যাংকে কর্মরতদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।

কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এরইমধ্যে জানিয়েছেন।

পাহাড়ে কেএনএফের আস্তানায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলো।

সেই আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছর অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় বেথেলপাড়ায়। রুমার উপজেলা পরিষদ বেথেলপাড়ার কাছেই অবস্থিত।

এদিকে চুক্তিভঙ্গ করে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় কেএনএফের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM