অজানা রহস্য/তারাবি পড়ে ঘরে ফিরে দেখলেন স্ত্রীর লাশ

অপরাধ ডেস্ক :

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় রিনা আক্তার (৪০) নামে নারীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে মুঠোফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।

- Advertisement -google news follower

সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান তিনতলা একটি ভবনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়। সবার মধ্যে উৎকণ্ঠা।

ওই ঘরে প্রবেশ করতেই বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় পড়ে ছিল এক নারীর মরদেহ। ঠিক তার পাশে মেঝেতে ছিল রক্তাক্ত দা। উদ্ধার করা হয় মরদেহ ও রক্তাক্ত দা।

- Advertisement -islamibank

বুধবার সকালে মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে ঠিক এভাবেই বর্ণনা দিলেন কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

জানান, রাতেই নিহত নারীর স্বামী আবু নাছেরসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে জানান তিনি।

নিহত নারী রিনা আক্তার (৪০) কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার আবু নাছেরের স্ত্রী।

স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনরা জানায়, নারীর স্বামী আবু নাছের তারাবির নামাজ পড়তে যায়। বাসায় এসে দেখতে পান দরজা খোলা। আর বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্ত্রী লাশ পড়ে রয়েছে।

একই সঙ্গে আলমারি ও লকার সব ভাঙ্গা ছিল। ধারণা করছেন আলমারি ভেঙে লুট করা হয়েছে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা।

নিহতের স্বামী আবু নাছের ওসমানি দাবি করেন তিনি তারাবি নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে দেখেন স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ খাটের ওপর পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় আব্দুল করিম দাবি করেন, তিনি শুনেছেন যে দা দিয়ে জবাই করা হয়েছে সেটি বাড়ির ব্যবহৃত দা। যে বাড়িতে খুন হয়েছে সেটি তাদের নিজস্ব ভবন। তিন তলা বিশিষ্ট এই ভবনের দুতলায় থাকেন তারা।

দুর্বৃত্তরা বাড়ির স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু বাড়ির যে রুমে খুন হয়েছে সেখানে আসবাবপত্র অগোছালো দেখা যায়নি।

তবে এব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘আলমারি ও লকার ভাঙ্গা ছিল এবং স্বর্ণালঙ্কার বা নগদ টাকা লুট করা হয়েছে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি।

আর ঘটনার ব্যাপারে বেশ কয়েকজন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের ৪ জনকে থানায় আনা হয়েছে।

ঘটনার পর আলামত সংগ্রহ করতে খবর দেয়া হয় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত আসে পিবিআই ও র‌্যাবের টিমও। তারাও আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহ করে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM