চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী বুড়ির দোকান এলাকায় একটি গরুর খামারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে আব্দুল গফুরের মালিকানাধীন খামারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালেও তার আগেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মাত্র ১০ মিনিটের আগুনে খামারে থাকা ১১টি গরু জ্যান্ত পুড়ে যায়। আর সে সাথে স্বপ্নও পুড়ে ছাই হয় আব্দুল গফুরের। খামারে মৃত গরুগুলোর সামনে কৃষকের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসীরা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করলেও ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল গফুর বলছেন পূর্ব শত্রুতার জেরে পার্শ্ববর্তীরা তার খামারে আগুন লাগিয়েছে।
আবদুল গফুরের ছেলে মো. ইমন হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে খামারে আগুন লাগিয়েছে শত্রুরা। এতে তার ২০/২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
ব্যাংক থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গরু মোটা-তাজা করণ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে। এত টাকার ঋণ কিভাবে শোধ করবে, বুক চাপড়ে চিৎকার করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ইমন।
আবদুল গফুর বলেন, খামারে হঠাৎ করেই আগুন লাগে। খামারের দরজা এবং গরুগুলো বাঁধা অবস্থায় ছটফট করতে করতেই মারা গেছ্নে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানান আব্দুল গফুর।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুনায়েদ জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা এ আগুন বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও ধোঁয়ার কারণেই গরুগুলো মারা গেছে।
চেয়ারম্যান এস এম সায়েম জানান, আগুনে খামারে ভিতরে বেশি পুড়ে যাওয়ায় সন্দেহ হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে গোয়াল ঘরের চালের একপাশে বেশি পুড়ে যাওয়ায় শত্রুতার আগুন বলেও মনে হচ্ছে।
চন্দনাইশ থানার এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্ত জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে তারা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
জেএন/পিআর