চবিতে ফের ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুটি উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন এবং সিএফসি এ সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

- Advertisement -

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে হামলা-পাল্টাহামলা শুরু হয়।

- Advertisement -google news follower

উভয়পক্ষকে তাদের হলের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। শাহ জালাল হলে ‘সিক্সটি নাইন’ ও শাহ আমানত হলে চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের সদস্যরা অবস্থান করছেন।

এর আগেও গত শুক্রবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেল ৫টার দিকে এ দুটি গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। ৫ ঘণ্টাব্যাপী ওই ঘটনায় পুলিশসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়।

- Advertisement -islamibank

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী থেকে জানা গেছে, পূর্ব ঘটনার জেড় ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টাহামলা শুরু হয়েছে।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষই সমাঝোতায় আসেনি। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর রেশ ধরে রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে সিক্সটি নাইনের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করেন সিএফসির কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এটি জানাজানি হওয়ার পর সিক্সটি নাইনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে আর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। এ দুটি হল পাশাপাশি। সংঘর্ষের সময় দুপক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

সিক্সটি নাইনের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, তাদের একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজনা হচ্ছে।

জানতে চেয়ে সিএফসি উপপক্ষের নেতা সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ওই পক্ষের আরেক নেতা সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসেন বলেন, তাদের ২ জুনিয়রকে মারধর করা হয়েছে। পরে তারা এটি প্রতিহত করছেন।

মাশরুর অনিককে কুপিয়ে জখম করার বিষয়ে জানতে চাইলে রমজান হোসেন বলেন, জুনিয়রকে মারতে গিয়ে ওই নেতা ব্যাথা পেয়েছে। তারা কাউকে মারেননি।

জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদারসহ প্রক্টরিয়াল বডির আরও তিন সদস্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমানে কমিটি নেই। চাঁদাবাজির অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনার পর গত বছর ২৪ এপ্রিল এ কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষ বিভক্ত। এর মধ্যে একটি পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। এ দুটি পক্ষ আবার ১১টি উপপক্ষে বিভক্ত। এর মধ্যে বিজয় ও সিএফসি মহিবুল হাসানের আর বাকি নয়টি উপপক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM