আমি ঢাকায় বসে স্বাক্ষর দিয়ে প্রকল্প পাশ করার জন্য মন্ত্রী হইনি: গণপূর্তমন্ত্রী

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ সব উন্নয়নকাজে সমন্বয়ের তাগিদ দিতেই চট্টগ্রামে এসেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, বিধিবিধান মেনে সব সংস্থাকে নিয়ে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করা হবে।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের নানা মেগাপ্রকল্পের কাজ তদারকি শেষে সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

- Advertisement -google news follower

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঢাকায় বসে স্বাক্ষর দিয়ে প্রকল্প পাশ করার জন্য মন্ত্রী হইনি। আমি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক অঞ্চল পরিদর্শন করব এবং বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

তিনি বলেন, এই সরকার জিয়াউর রহমানের সময়ের দুর্বৃত্তের সরকার নয়, এই সরকার পলিটিক্যাল ও ডেমোক্রেটিক। জনগণ হলো পলিটিক্যাল সরকারের মাস্টার্স, কাজেই জনগণকে গুরুত্ব দিতে হবে, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

- Advertisement -islamibank

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দেশপ্রেমকে ধারণ করে আইন মেনে কাজ পরিচালনা করলে সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। যেসব ঠিকাদার ধীর গতিতে কাজ করে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবন্ধতার সমস্যা আমার নজরে থাকবে। চট্টগ্রামে আজকেই শেষ না, বারবার আসবো। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই আসবো।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ আরও অনেকে।

বঙ্গোপসাগর উপকূল ও কর্ণফুলী নদী তীরে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, আউটার রিং রোড ও মেরিন ড্রাইভ। বন্দর ও বঙ্গবন্ধু ট্যানেল কেন্দ্রীক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন এসব মেগাপ্রকল্পে বদলে যাচ্ছে পুরো বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অর্থনীতির চেহারা।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সরকারি নানা সংস্থার কাজের তদারকিতে এই প্রথম চট্টগ্রামে আসেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বুক চিরে বয়ে চলা ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করে কথা বলেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। দুপুর ১২ টায় কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত আউটার রিং রোডের কাজের তদারকি করেন মন্ত্রী।

পরে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে সিডিএ, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কোনো ধরনের সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। তবে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করা হবে।

এর আগে সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মন্ত্রী। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে অভিবাদন জানান সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM