অবৈধ সম্পদ অর্জন: পদ্মা অয়েল সিবিএ নেতা কারাগারে

২ কোটি ১১ লাখ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় চট্টগ্রামে পদ্মা অয়েল কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা নাছির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ ড. বেগম জেবুননেছা এ আদেশ দেন।

- Advertisement -

দুদকের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

- Advertisement -google news follower

তিনি বলেন, ‘পদ্মা অয়েল কোম্পানি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেছিল দুদক। তিনি আজ (মঙ্গলবার) আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

এর আগে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. সবুজ হোসেন।

- Advertisement -islamibank

মামলা সূত্রে জানা যায়, নাছির উদ্দিন প্রথমে অস্থায়ী ‘সিকিউরিটি গার্ড’ পদে পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার পর ১৯৮৬ সালের ২৩ আগস্ট ২৩০ টাকা বেসিক বেতনে ‘পিয়ন’ হিসেবে চাকরি নিয়মিত হয় তাঁর। ২০১৪ সালের ‘ট্যাংক লরি হেলপার’ থেকে ‘চেকার’, পরের ছয় মাসের মাথায় ‘সুপারভাইজার’ পদে পদোন্নতি পান।

নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকের কাছে তিনি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন।

এর মধ্যে আনোয়ারার চাতরীতে ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৫০ টাকায় ৫২ শতক কৃষি জমি ও আলোচ্য জমিতে ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যয়ে একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করেন। প্রকৌশলী দ্বারা পরিমাপে কমিউনিটি সেন্টারটি নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৪৪ টাকা। এখানে তিনি ১ কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৪ টাকা তথ্য গোপন করেন।

এ ছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের রেকর্ডপত্র যাচাইয়ে তাঁর নিজ নামে ২৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার সম্পদ ক্রয়ের তথ্য পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে তিনি ১ কোটি ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৪ টাকা স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। এর বাইরে তিনি তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।

কিন্তু যাচাইয়ে তাঁর নামে মোট ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ২২০ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনি লাইফ ইনস্যুরেন্স, পলিসি স্কিম ও মেসার্স আমিন নামে প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও জমা রাখেন। এখানে তিনি ৬৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৬ টাকা অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন। সব মিলিয়ে নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ১১ লাখ ৭১ হাজার ১৩০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা হয়।

এস এ

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM