চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের মুজিবুর রহমান সিআইপির মিছিলে হামলার ঘটনায় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নৌকা প্রতিকের ৮ সমর্থককে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদের বাঁশখালী আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী আদালতের সাব ইন্সপেক্টর মো. মাকসুদ জানান, ‘আসামিরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন এর প্রার্থনা করিলে, আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ। তাদের চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আসামিরা হচ্ছেন, বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. রেজবা (২৮), কায়কোবাদের ছেলে কায়জাসেদ প্রকাশ প্রমি (২৪), মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. রাশেদ (২৬), ছাবের আহমদের ছেলে রাশেদ (২২), হাবিবের ছেলে মো. জমির (২৬), আবু তাহেরের ছেলে মুবিন (৩০), মৃত জুনু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩৭), ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আশেক (২৫)।’
এ বিষয়ে মামলার বাদি বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৯ ডিসেম্বর সন্ধায় ঈগলের বিশাল মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কে লক্ষ্মী স্কয়ারের সামনে যাবার সময় নৌকার সমর্থক ৪০/৫০ জন ভয়ংকর সন্ত্রাসী কিরিচ, লাঠিসোটা নিয়ে ঈগলের মিছিলের ওপর হামলা করে।
ওই হামলায় মারাত্বকভাবে জখম হয় ঈগল মার্কার সমর্থক মো. আনসার ও অরুণ্য দাশ রাজু। ওই সময় সন্ত্রাসীরা বাঁশখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শ্যামল দাশের ওপর হামলা করে ডেঁডা ডেঁডা বলে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত করে।
প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলা এই হামলা পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর থানায় ১১ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।’
জানা যায়, জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বাঁশখালী থানায় মোস্তাফিজুর রহমানের ১১ সমর্থকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন মুজিবুর রহমানের সমর্থক বেলাল উদ্দিন।
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে নয়জনের নাম উল্লেখসহ ২০ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন নৌকার প্রার্থীর সমর্থক হারুনুর রশিদ।
জেএন/পিআর