রাঙামাটিতে মামলার জালে আটকা এলএসডির ১২ ঠিকাদারী

রাঙামাটি জেলা-উপজেলার ১২ এলএসডির (লোকাল স্টোরেজ ডিপো) শ্রম ও হস্তার্পণ কাজের ঠিকাদারদের নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছে না খাদ্য বিভাগ।

- Advertisement -

এসব ঠিকাদারদের বর্ধিত নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার পর খাদ্য বিভাগের তত্বাবধায়নে এবার মাস্টার রোলে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। আর এতে জেলার ১২ এলএসডির শ্রম ও হস্তার্পণ ঠিকাদারী কাজ মামলার জালে আটকিয়ে কব্জায় রাখার কুটকৌশল ভেস্তে গেছে।

- Advertisement -google news follower

এদিকে শ্রম ও হস্তার্পণের বিতর্কিত ঠিকাদারদের নিকট জিম্মি থাকা জেলার ১২ এলএসডি মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি কাজের গতি ও স্বস্তি ফিরে আসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল।

জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান বিন্দু জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চলতি মাসের (অক্টোবরের) এক তারিখ হতে স্থানীয় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরাসরি মাস্টার রোলে শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।

- Advertisement -islamibank

সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলা-উপজেলার ১২টি এলএসডির জন্য সর্বশেষ ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবান করে শ্রম ও হস্তাপর্ণন ঠিকাদার নিয়োগ করে রাঙামাটি জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

দুই অর্থ বছরের জন্য নিয়োগকৃত এসব ঠিকাদারের নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৩০জুন। এরপর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর দুই দফা শ্রম ও হস্তাপর্ণ ঠিকাদার নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবান করে।

তবে সংঘবব্ধ একটি চক্র প্রথমবার নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে ১২টি এলএসডির ঠিকাদারী কাজ ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর চট্টগ্রামের বিগত আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান তা আর অনুমোদন না দিয়ে ফেরৎ পাঠান। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো গত আগস্টে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর- দরপত্র দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও এর চারদিন পূর্বে দরপত্র কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে চট্টগ্রামের এয়ার মোহাম্মদ গং।

হাইকোর্টের দরপত্র কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেয়ায় জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান বিন্দু শ্রম ও হস্তার্পন ঠিকাদার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত করে অফিস আদেশ জারি করেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে নিয়োগকৃত ঠিকাদারদের নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের ৩০ জুন। এরপর থেকে তিন মাস অন্তর নিয়োগ চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে পুরোনো ঠিকাদারদের দিয়ে শ্রম ও হস্তার্পণের (হ্যান্ডেলিংয়ের) কাজ চালু রাখা হয়েছে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম কায়সার এক অফিস আদেশে রাঙামাটির ১২ এলএসডির পুরোনো সকল ঠিকাদারদের নিয়োগ চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেন। একইপত্রে স্থানীয়ভাবে মাস্টার রোলে শ্রমিক নিয়োগ করে শ্রম ও হস্তাপর্ণ কাজ চালিয়ে নিতে বলা হয়।

জেএন/এফও/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM