বাংলাদেশকে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে ২০ কোটি ডলার (প্রায় ২ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

- Advertisement -google news follower

‘আরবান হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড পপুলেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং সাভার ও তারাবো পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গুসহ সাধারণ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করা হবে ওই অর্থ।

বিশ্বব্যাংক বলছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার-পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে।

- Advertisement -islamibank

বিশ্বব্যাংক আশা প্রকাশ করেছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি ২৫ লাখ শিশু এ সেবা থেকে উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু শহর এলাকায় নাগরিক স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এখনো সীমিত। ফলে দরিদ্র ও বস্তিবাসীদেরও বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা নিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দ্রুত নগরায়ণের কারণে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ বাড়ছে, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আবির্ভূত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা খাতে।

এদিকে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রকল্পের আওতায় নারীদের মাতৃত্বকালীন সেবাও দেওয়া হবে। এতে আড়াই লাখ নারী তাদের গর্ভকালীন অন্তত চারটি চেকআপের সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক উচ্চ রক্তচাপের স্ক্রিনিং এবং ফলোআপ চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও পরিবার-পরিকল্পনা ক্লিনিকে দরিদ্র নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির খরচ কমিয়ে আনতেও সহায়ক হবে এই প্রকল্প।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এই প্রকল্পের আওতায় মৌসুমভিত্তিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে কাজ করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ওই ২০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে ওই ঋণ শোধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত অর্ধশতাব্দীতে সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে ৪ হাজার কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো নির্মাণসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন খাতে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM