হেফাজতের ৭ দফা দাবি ঘোষণা

দীর্ঘ প্রায় সাড়ে আট বছর পর রাজধানীতে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করেছে অরাজনৈতিক সংগঠনের দাবিদার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শুরু হওয়া সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য শীর্ষ আলেম ওলামা ও নেতাকর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

- Advertisement -

ওই সময় নতুন ৭ দফা দাবি এবং তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি দাবি করা হয়।

- Advertisement -google news follower

মূলত হেফাজতের সাবেক আমির মকবুল শাহ আহমদ শফী ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও আলেম ওলামাদের মুক্তি, শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা সহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবু নগরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজী, মাওলানা মুহিবুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা ফুরকানউল্লাহ খলিল, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী,ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, হেফাজত নেতা মুজিবুর রহমান হামিদী, আবদুল মাজেদ খান, খালেদ সাইফুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, হাবিবুর রহমান কাসেমীসহ অনেকে।

- Advertisement -islamibank

সম্মেলন থেকে সাতটি নতুন দাবি ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো—

১. অবিলম্বে হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে।

২. নেতাকর্মীদের নামে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. ইসলাম ও মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

৪. কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

৫. শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৬. জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলিয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৭. বিশ্ব ইজতেমায় বিতর্কিত মাওলানা সা‘দ কে আসার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

এ ছাড়া নতুনভাবে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে—দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে। দেশের বিভাগীয় শহরে শানে রেসালত সম্মেলন করা হবে। রাজধানীতে জাতীয় শানে রিসালাত সম্মেলন হবে।

আবদুল মাজেদ খান বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই লক্ষ্যে অটল থাকলে হেফাজত অনেক দূর যাবে।

খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, অবিলম্বে আলেম ওলামাদের মুক্তি দিন। তা না হলে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে তারা ১৩ দফা মেনে নিবে।

হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, অবিলম্বে ১৩ দফা বাস্তবায়ন করুন। আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা ক্ষমতার জন্য সংগঠন করিনা। কেউ যদি ইসলামের নামে কটাক্ষ করে তাদেরকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে জীবন দিতে প্রস্তুত। কুরআন, আল্লাহ ও তার রাসূলের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়ন করতে হবে। ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।’

মাহফুজুল হক বলেন, ‘নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাদের মুক্তি না হওয়া এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সরকারের কানে পানি না গেলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবো ইনশাআল্লাহ। নব্বইভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম অবমাননা হবে, ইসলামী শিক্ষা সংকোচন হবে এটা মেনে নেওয়া হবে না।’

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM