স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ও অন্যান্য মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশনা অমান্য করে অনেকের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার এক স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কিনা। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কিনা সেটাই সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনও সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না।

- Advertisement -

তিনি আরও বলেন, অনেকেই এর মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন।

- Advertisement -google news follower

শুক্রবার (৩ মে) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলবো একটা, আর কাজে করবো আরেকটা এটায় আমি বিশ্বাসী নই। কোনও প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনও অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেবো না।

- Advertisement -islamibank

‘স্বজন’ বলতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সংজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার কথা হচ্ছে ভাই হোক, স্বজন হোক আমি তাকে দাঁড় করিয়েছি কি না, আমি তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না, সেটা হচ্ছে বড় কথা। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকি তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিষয়ে জড়িত থাকলে কিচু করার নেই।

প্রধানমন্ত্রীর বলা– পরিবারের মধ্যে যেন সব কিছু কেন্দ্রীভূত না করে, এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বজনদের সব কিছু দেওয়ার জন্য যদি সব কিছু কেন্দ্রীভূত করা হয়, তাহলে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? একথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সবার বক্তব্য সেটাই।

তিনি এসময় আরও বলেন, বিরোধী দলের মোকাবিলায় আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের নিজেদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশনের ওপর নির্ভর করে আমরা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে– বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন। আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা হয়েছে। এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগিতা করেছে।

দেশি-বিদেশি চাপ

দেশি-বিদেশি চাপ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তিযুক্ত কতটা সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, সেটা তো আমরা উপলব্ধি করি। কীভাবে আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো আমরা অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি ছিল, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিলো। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেওয়া হয়েছিল। এখানে কোনও গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনও সিক্রেট বিষয় ছিল না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM