সীমান্তে পড়ে আছে অজ্ঞাত লাশ

মিয়ানমার-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে রাত হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করতে যায়নি পুলিশ।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়া থাইংখালীর রহমতেরবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -google news follower

বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, আমাকে বিজিবি থেকে জানানো হয়েছে। তবে রাত হওয়ায় সীমান্ত এলাকায় বিজিবি পরামর্শ দিয়েছে যাতে রাতে না গিয়ে সকালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রহমতেরবিলের এই সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে ১৩৭ সীমান্তরক্ষী। এদের সঙ্গে ২ নারী এবং ২ শিশু ছিল। আরকান আর্মি নামের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে মিয়ানমার জান্তা সরকারের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এতে একের পর এক এলাকা দখলে নিচ্ছে আরকান আর্মিরা। এ অবস্থায় সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি চলতে শুনা যায়।

- Advertisement -islamibank

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে গোলাগুলির বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। কয়েকটি মর্টার শেলের আওয়াজও ভেসে এসেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এতে নতুন করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে শান্ত রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত।

স্থানীয়রা আরও বলেন, পালংখালীর রহমতের বিল এলাকায় মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। রাতে গুলির শব্দ শুনে অনেকের ঘুম ভেঙে গেছে। কেউ কেউ ঘর থেকে বের হয়ে এদিক-ওদিক যেতে থাকেন। তবে রাত দুইটার পর আর কোনো গোলযোগের খবর আসেনি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে ১০-১২টা গুলির শব্দ ও ২-৩টি মর্টার শেলের আওয়াজ শোনা গেছে। তবে তা বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে আরেকটু দূরে বলে মনে হয়েছে।

এরপরও স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে আরকান আর্মির সঙ্গে বিজিপির সংঘর্ষ পালংখালী সীমান্ত অংশে থেমে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপির) সংঘর্ষ শুরু হয়।

ইতিমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামে দুজন নিহত হন।

আরকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে আশ্রয় নেয় সে দেশের ৩২৮ জন, যারা দেশটির বিজিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM