হ্যাপি নিউ ইয়ার ‘২০২৪’

হ্যাপি নিউ ইয়ার! তেইশ পেরিয়ে ২৪-এ পা। পুরনো বছরের যা কিছু মলিনতা সমস্তটাই পিছনে ফেলে নতুন আশা এবং নয়া উদ্যম নিয়ে ২০২৪ সালে পদর্পণ।

- Advertisement -

একবিংশ শতাব্দিতে যুক্ত হল আরও একটি নতুন বছর। আনন্দ, উন্মাদনা আর আতসবাজির রোশনাইয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিল বাংলাদেশ।

- Advertisement -google news follower

৩১ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুর থেকেই এক এক করে বর্ষবরণের উল্লাস শুরু হয়েছিল বিভিন্ন দেশে। টাইমজোন আলাদা হলেও নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনের আনন্দে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সিডনি থেকে সুইজারল্যান্ড, কিউবা থেকে ক্যানবেরা।

ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ আর ইনস্টা রিলের যুগে নববর্ষের উদযাপনও এখন ডিজিটাল। জেন জি-এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেই হ্যাপি নিউ ইয়ার জানানোর পালা। মলিন হয়েছে হাতে লেখা গ্রিটিংস কার্ডের স্মৃতি।

- Advertisement -islamibank

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটবক্স ভরে উঠছে হরেক রকম GIF-এ। সঙ্গে মানানসই ইমোজি। সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই আন্তর্জালের মাধ্যমে একে অপরকে নিউ ইয়ার উইশ করতে ব্যস্ত।

আবার নতুন বছরে নতুন রেজলিউশন নেওয়ার পালাও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকবছরের মতো দু’টো দিন যেতে না যেতেই যা ভঙ্গ হয়ে যায় নিমেষে।

ঘুম থেকে সকাল সকাল উঠে এক্সারসাইজ করা কিংবা মন দিয়ে পড়াশোনা করার মতো রেজলিউশনগুলো ১ পেরিয়ে ২ জানুয়ারি থেকেই আর রাখা হয় না।

তবে সামাজিক দায়িত্ব, কর্তব্য এবং মূল্যবোধ, ভালো মানুষ হওয়ার অঙ্গীকার, দূষণমুক্ত পৃথিবী, সুশাসনের রেজলিউশন রাখাও অবশ্য অনেকক্ষেত্রে বড় কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

২০২৩ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ২০২৪-এ পূরণ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার। আরও একটা নতুন বছর এই দেশ তথা এই পৃথিবীকে কী ভাবে শিশুর বাসযোগ্য করে তুলতে পারে, তার জন্যও অপেক্ষা থাকবে।

প্যাসিফিকের সামোয়া এবং কিরিবাটিতেও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় ধুমধাম করে। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডও। সে দেশের অকল্যান্ড শহরের বাসিন্দারা সাড়ম্বরে পালন করছেন ইংরেজি নববর্ষ।

আকাশে দেখা গিয়েছে আতসবাজির আলোর ঝলকানি। অস্ট্রেলিয়াতে সেলিব্রেশন শুরু হয় তার ঠিক পরই। সিডনি হার্বারে রঙিন ফোয়ারায় বর্ষবরণের উৎসব ছিল চোখ ধাঁধানো।

পৃথিবীর মহাদেশগুলির অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্বদিকের দেশগুলিতে আগে আসে নতুন বছর। দুনিয়ার মানচিত্রের পশ্চিমদিকের দেশগুলি পরের দিকে বর্ষবরণ হয়।

রোমান সম্রাজ্যে ১ মার্চকে নববর্ষ হিসেবে ধরা হতো। এদের অবশ্য একটি ক্যালেন্ডারও ছিল। রোমানদের এই ক্যালেন্ডারে মাস ছিল মোটা ১০টা। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির কোনো উল্লেখ ছিল রোমান ক্যালেন্ডারে। পরে অবশ্য নুমা পন্টিলাস নামের এক সম্রাট ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি যোগ করেন।

খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে বর্ষবরণের দিন হিসেবে ২৬ মার্চ তারিখটিকে ধরা হতো। পরে সম্রাট পন্টিলাস ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি যোগ করার পরে ১ জানুয়ারি দিনটিকেই বর্ষবরণের দিন হিসেবে ঠিক করে দেন।

তখন থেকেই ঠিক করা হয় যে ১ জানুয়ারি দিনটি হলো নিউ ইয়ার ডে বা বর্ষবরণ দিন। কিন্তু এই দিনটি নিউ ইয়ার ডে হিসেবে ঠিক করা হলেও, মার্চের ১ তারিখকেই নিউ ইয়ার ডে হিসেবে পালন করতেন রোমানরা।

পরে ৩৬৫ দিনে এক বছর হিসাবে ধরার ঘোষণা করেন জুলিয়াস সিজার। তখন আবারো ১ জানুয়ারিকেই নিউ ইয়ার হিসেবে ধরার কথা ঘোষণা করা হয়।

তবে সমস্যা ছিল সিজারের ক্যালেন্ডারেও। পরে অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস নামের এক চিকিৎসক এই সমস্যা দূর করে দেন। আজও সেই ক্যালেন্ডারেরই প্রচলন রয়েছে বিশ্বজুড়ে।

পোপ গ্রেগরির নাম অনুসারে এই নতুন ক্যালেন্ডারের নাম হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। প্রায় ৪৩২ বছর আগে ১৮৫২ সাল নাগাদের ঘটনা। তবে থেকেই ভালোমতো শুরু হলো ক্যালেন্ডারের প্রচলন।

বিশ্বব্যাপী এই ক্যালেন্ডার ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ১ জানুয়ারির বর্ষবরণ উৎসব হিসাবে পালন হতে লাগল। এ দিন পৃথিবী জুড়ে সবাই হ্যাপি নিউ ইয়ার উৎসব পালন করেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM