নৌকায় এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আনে

আগামী নির্বাচনেও নৌকার মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা পদ্মা সেতু, রেল সেতু দিয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছে।

- Advertisement -

নৌকা আপনাদেরকে কলেজ স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে। নৌকায় এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আনে।

- Advertisement -google news follower

তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যাতে আপনাদের সেবা করতে পারে আপনাদের কাছে আমার সেই আবেদন থাকল।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ভাঙ্গা ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

- Advertisement -islamibank

এর আগে, মুন্সীগঞ্জ লৌহজং মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন প্রান্তে সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন শেষে ট্রেন যাত্রী হিসেবে ভাঙ্গার জনসভায় যোগ দেন তিনি।

মাওয়া প্রান্তে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুইচ চেপে রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের মানুষ প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগের আওতায় এলেন।

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে সড়কপথে মাওয়ায় সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ছোটবোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাইরে আরও ৫০ জনকে সফর সঙ্গী হিসেবে নেন প্রধানমন্ত্রী।

ফরিদপুরের জনসভা শেষে সড়ক পথে পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে যাবেন এবং সেখানে একদিন অবস্থান শেষে বুধবার (১১ অক্টোবর) সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটাই লক্ষ্য সামনে। ২০২১-এ উন্নয়নশীল দেশ করেছি। ২০২৬ থেকে এটা কার্যকর হবে। সেই কারণেই আপনাদের কাছে আমার আবেদন এতো দিনরাত পরিশ্রম এই দেশের যে উন্নতি করেছি, হাজার হাজার মাইল রাস্তাঘাট, গ্রামে গ্রামে কাঁচা রাস্তা খুবই কম আছে; যা আছে আগামীতে আরও করে দেব।

রেল সম্প্রসারণ করে দিচ্ছি। নৌপথ ড্রেজিং করে চালু করে দিচ্ছি। বিমান কিনে বিমান পথ চালু করেছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে উন্নয়ন করে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এটা করতে পেরেছি কেন? তার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। সেই কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার কারণ তুলে ধরে আরও বলেন, ‘ওই লুটেরা বিএনপি যে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, পলাতক আসামি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়েছে। অর্থ, অস্ত্র চোরাকারবারী। এই হলো বিএনপির নেতা।

আর জামায়াতে ইসলামী হলো যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধাপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছি। এরা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য একমাত্র নৌকা মার্কাই আপনাদেরকে সবরকম সহযোগিতা দেবে।

নদী ভাঙ্গন দেশের জন্য একটা সমস্যা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নদী ভাঙ্গন থেকে ফরিদপুর থেকে শরিয়তপুরসহ বিভিন্ন এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা নদী ভাঙ্গা রোধ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছি এবং তা কিছু কিছু বাস্তবায়নও শুরু করেছি। কাজেই সারাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM