ধনকুবের স্রেথা থাভিসিন থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী!

দীর্ঘ তিন মাসের অচলাবস্থা শেষে, থাইল্যান্ডের সংসদ মঙ্গলবার দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নিয়েছে। তারা রক্ষণশীল অভিজাতদের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসাবে দেখা একটি দল থেকে একজন রিয়েল এস্টেট টাইকুন স্রেথা থাভিসিনকে বেছে নিয়েছে।

- Advertisement -

এ পদক্ষেপটি আপাতত, একটি দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়েছে যা দেশটিকে রাজনৈতিক সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

- Advertisement -google news follower

মঙ্গলবার ৩৭৪ জনেরও বেশি আইনপ্রণেতা পার্লামেন্টে স্রেথা থাভিসিনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী হতে তার ৩৭৪টি ভোটই প্রয়োজন ছিল। পার্লামেন্টে উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন এই বিজনেস টাইকুন।

ফেউ থাই পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছিলেন থাভিসিন। এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
গত মে থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) কাছে পরাজিত হয় পপুলিস্ট ফেউ থাই পার্টি। ওই নির্বাচনে বেশিরভাগ আসন জিতেছিল পিটা লিমজারোয়েনরাতের দল এমএফপি।

- Advertisement -islamibank

তবে, দলটি থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদ পেতে সামরিকপন্থী ও রাজকীয় সিনেটরদের কাছ থেকে সমর্থন নিতে পারেনি। এরপরেই ফেউ থাইয়ের সঙ্গে জোট করে এমএফপি।

শ্রেথা থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ঘনিষ্ঠ মিত্র, এবং অনেক বিশ্লেষক বলেছেন যে, থাকসিনের দেশে প্রত্যাবর্তন তার আত্মবিশ্বাসের মাত্রা প্রতিফলিত করে যে তিনি ফেউ থাই নামে ২০০৭ সালে যে পপুলিস্ট পার্টি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সরকার গঠনের সময় শ্রেথা তার অংশ ছিলেন।

থাইল্যান্ডের সর্ববৃহৎ আবাসন প্রতিষ্ঠান সানসিরির সাবেক প্রধান থাভিসিন। গত শুক্রবার দারিদ্র্য ও অসমতা মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ওই দিন নিজের বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতির অভিযোগও অস্বীকার করে তিনি। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM