তারেক রহমানের সঠিক ঠিকানায় রুলের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ

গণমাধ্যম, অনলাইনসহ অন্যান্য মাধ্যমে বক্তব্য প্রচারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুলের নোটিশ গুলশানের সঠিক ঠিকানায় পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে নোটিশ পাঠাতে বিকল্প পন্থা হিসেবে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দিতে বলা হয়েছে।

- Advertisement -

রোববার (১৩ আগস্ট) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

- Advertisement -google news follower

ইতোপূর্বে সাড়ে আট বছর শুনানি না হওয়া রুলটি শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানিও হয় একাধিক দিন। আজ ২য় দিনে শুনানি শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটার দিকে। আইটেম ছিল ৫০। আদালত আজ দশটা ৫১ মিনিটে তারেক রহমানের বিষয়টি কল করেন। এ সময় আদালতের ডায়াসে যান রিটকারী আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। আরেক আইনজীবী সানজিদা খানম। এরপর দশটা ৫৩ মিনিটে এজলাসে আসেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত হন সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য আইনজীবী আইনজীবীরা। পরে আদালত এ রিটের বিষয়টি শুনানি করেন। শুনানি করে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের বিষয়ে যে রুল জারি করা হয়েছে সেই রুলের নোটিশ তার গুলশানের সঠিক ঠিকানায় পাঠাতে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। সে রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

- Advertisement -islamibank

হাইকোর্টের রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে হাইকোর্ট তারেক রহমানের অবস্থান জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

পরবর্তীতে ঠিকানা ভুলের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান বাদে রিট আবেদনের অন্য সকল বিবাদীদের বরাবর রুলের নোটিশ জারি হয়। অবশেষে সাড়ে আট বছর পর শুনানি না হওয়া সেই রুল শুনানির জন্য গত ২ আগস্ট আবেদন করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিভিন্ন মামলা আদালতে বিচারাধীন। সম্প্রতি একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। সাজাপ্রাপ্ত হলেও বিদেশে অবস্থান করায় ‘পলাতক’ হিসেবে বিবেচনা করে তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।

এর আগে, ২০১৬ সালে এক আদেশে হাইকোর্ট বলেন, সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিষেধ থাকবে। ওই সময় থেকে সব গণমাধ্যম তার বক্তব্য প্রচার বন্ধ করে দেয়। তবে গণমাধ্যমগুলোতে তার প্রচার বন্ধ হলেও অনলাইন মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি। এই বাস্তবতায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা।

রুল শুনানির দিন ঠিক করতে গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান, তারেক রহমানকে তো নোটিশ দেওয়া হয়নি কীভাবে এর শুনানি হবে। উত্তরে রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম বলেন, উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর প্রেক্ষিতে আজ তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন আনতে বলেন হাইকোর্ট।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM