মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ,নিহত ১৭

মিয়ানমারের দুটি গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ধর্ষণ, শিরশ্ছেদসহ এসময় তারা কমপক্ষে ১৭ জনকে হত্যা করা হয়।

- Advertisement -

দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের নিয়াউং ইয়িন এবং টার তাইং নামক গ্রামে সেনাবাহিনী এ তাণ্ডব চালায়। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এপি।

- Advertisement -google news follower

স্থানীয় বাসিন্দাদের রবাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়াউং ইয়িন এবং টার তাইং থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহের এ হামলায় জড়িত ৯০ জনেরও বেশি সৈন্য জড়িত ছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি হেলিকপ্টারে করে এসব সৈন্যকে ওই এলাকায় আনা হয়।

গ্রামবাসী বলছে, গত বৃহস্পতিবার নিয়াং ইয়িনের একটি নদীর মধ্যে অবস্থিত ছোট দ্বীপে তিন নারীসহ ১৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর দুই সদস্যসহ টার তাইংয়ে আরো তিনজন পুরুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। ওই দুজনের মধ্যে একজনের মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।

- Advertisement -islamibank

টার তাইংয়ের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী মো কিয়াও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই আক্রমণ থেকে বেঁচে যান। অবশ্য মো কিয়াও হামলা থেকে নিজে বাঁচলেও তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী প্যান থাওয়াল এবং ১৮ বছর বয়সী ভাতিজা সেনা সদস্যদের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন।

ফোনে যোগাযোগ করা হলে গত শুক্রবার তিনি বলেন, গত বুধবার মধ্যরাতে সৈন্যদের হাতে আটক হওয়া ৭০ জন গ্রামবাসীর মধ্যে তারা ছিলেন। পরে তাদের বন্দি করে স্থানীয় বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায় সেনারা।

মো কিয়াও বলছেন, সৈন্যরা তার খালার ছোট দোকান থেকে বিয়ার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে। পরে তারা তার খালাকে মারধর শুরু করলে নিজের জীবন বাঁচাতে তিনি (মো) পালিয়ে যান।

যদিও দুই সৈন্য তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি চালিয়েছিল। ৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি আরও বলেন, তার স্ত্রী এবং অন্যান্য গ্রামবাসীদের ওই বৌদ্ধ মঠে নির্যাতন করা হয় এবং পরে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এপি বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার অশান্তির মধ্যে রয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী মারাত্মক শক্তি দিয়ে দমন করে।

এছাড়া বিক্ষোভ দমনের সময় সৃষ্ট সহিংসতা মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে সশস্ত্র প্রতিরোধের সূত্রপাত ঘটায় যা পরবর্তীতে জাতিসংঘের কিছু বিশেষজ্ঞ গৃহযুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM