কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া সে রাতুলকে দেশে আনা হচ্ছে

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া কুমিল্লার কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিমকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

- Advertisement -

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার ফেসবুক পেজে রাতুল ইসলাম ফাহিমের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন।

- Advertisement -google news follower

সেই ভিডিও দেখা যায়, বাংলাদেশি এক কর্মকর্তার মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও কলে রাতুল তার বাবার সঙ্গে কথা বলছে। শুরুতে বলছে, সে ভালো আছে। দেশে চলে আসবে। পরে আবার বলছে, তার বুকে ব্যথা।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ‌‘রাতুল ইসলাম ফাহিম দুই মাস আগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বাড়ি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। তার কিছু অসুস্থতা আছে। চট্টগ্রাম থেকে পৌঁছে গিয়েছিল মালয়েশিয়ায়।

- Advertisement -islamibank

হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন কিছুটা সুস্থ। আমাদের হাইকমিশন থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তাকে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে আটকা পড়ে রাতুল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকরা।

এরপরই কেলাং বন্দরকে জানানো হয়। পরদিন বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে বাক প্রতিবন্ধী কিশোর রাতুলকে উদ্ধার করা হয়।

ওই কিশোরকে উদ্ধারের ওই কিশোরের কন্টেইনার থেকে বেরিয়ে আসার কয়েকটি ভিডিও মালয়েশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। এরপর তোলপাড় শুরু হয়।

প্রথমে তাকে রোহিঙ্গা শিশু ধারণা করা হলেও অবশেষে মিলেছে কিশোরের পরিচয়। সে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৫)।

পরিবার দাবি করেছে, রাতুল মানসিক ভারসাম্যহীন। মিডিয়ায় ছবি দেখে ছেলেকে শনাক্ত করেছে রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া। বর্তমানে রাতুল মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। রাতুলকে ফিরে পেতে তার বাবা-মা ও স্বজনেরা সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

রাতুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়ার ৩ ছেলে। রাতুল সবার বড়। দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকম দিন যাচ্ছে তার পরিবারের। তবে কবে কখন রাতুল কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া গিয়েছে তা জানেন না তার পরিবার।

রাতুলের মা রোকেয়া বেগম জানান, আমি আমার সন্তানকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আপনারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে এনে দেন। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি। যেন সরকার আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেয়।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM