ভারতের নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোলমডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তহাতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করে দেশকে যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ভারতের নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জনকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার প্রেস ক্লাব সভাপতির হাতে ভারতের পক্ষ থেকে সৌজন্য উপহার তুলে দেন।
ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, আমার কর্মকালীন সাংবাদিকদের জন্য সহকারী হাইকমিশন অফিসের দরজা সবসময় খোলা থাকবে।
প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। গত ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্যভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়। একইভাবে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে শোকসভার আয়োজন করা হয়। দু’দেশের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক অটুট রাখতে চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ সবসময় সহযোগিতা করবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম।
এ সময় প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, স্থায়ী সদস্য দেবপ্রসাদ দেবু, জাহিদুল করিম কচি, স্বপন কুমার মল্লিক, ওমর কায়সার, প্রদীপ নন্দী, এসএম আতিকুর রহমান, রফিকুল বাহার, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, আফজল রহিম সিদ্দিকী, তাপস বড়ুয়া রুমু, দেবপ্রসাদ দাস দেবু, সুভাষ কারণ, আলমগীর সবুজ, নাছির উদ্দিন তোতা, শামসুল হুদা মিন্টু, মোহাম্মদ ফারুক, মুস্তফা নঈম, বিপুল বড়ুয়া, আবুল হাসনাত, মান্নান মেহেদী, প্রণব বল, রমেন দাশগুপ্ত, আল রাহমান, সাইদুল আজাদ, নিপুল কুমার দে, রাজেশ চক্রবর্তী, অমিত বড়ুয়া, সুমন গোস্বামী, মো. ফরিদ উদ্দিন, নাজমুল আলীম সাদেকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/এসআই
