এক ম্যাচ আগেই সিরিজ পাকিস্তানের পকেটে

টানা তিনটি সিরিজ জয়ের পর এবার হারলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই টি-টোয়েন্টি জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের পকেটে নিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ব্যাটিং ব্যর্থতার খেসারত দিয়েছে বাবর আজমের দলের কাছে হেরে। দেশের বাইরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ও ঘরের মাঠে পরপর অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর পাকিস্তানের কাছে বধ হলো মাহমুদউল্লাহর দল।

- Advertisement -

শনিবার (২০ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। বিব্রতকর, হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। অপরাজিত ছিলেন ফখর জামান ৫৭ ও হায়দার আলী ৬ রান করে।

- Advertisement -google news follower

শুরুতে বাংলাদেশ বাবর আজমকে ফেরালেও এরপর বল হাতে কার্যত আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। আসলে স্কোরবোর্ডে এত কম রান নিয়ে বোলারদের জন্যও লড়াই করা দুষ্কর। মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিনরাও পারেননি। বাবর ফেরার পর ফখর-মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান।

অবশ্য আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে ২৬ রানের সময় সাইফ হাসানের হাতে জীবন পেয়েছিলেন ফখর। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৮৫ রান। রয়ে-সয়ে খেলে রিজওয়ান থামেন ৪৫ বলে ৩৯ রান করে। ৩৯ রানের সময় রিজওয়ানেরও ক্যাচ মিস হয়েছিল, এবার হাত ফসকেছে তাসকিন আহমেদের। ২৬ রানে জীবন পাওয়া ফখর অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ৫৭ রান করে। ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি চার ও ৩টি ছয়ে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার সপ্তম অর্ধশতক। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজ ও বিপ্লব।

- Advertisement -islamibank

এর আগে আজ প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তবে আজ ১১০ রানও পার করতে পারেনি তারা। প্রথম দুই ওভারে নেই দুই উইকেট। এই সিরিজে অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ সাইফ প্রথম ম্যাচে ১ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ০ রানেই ফেরেন। মোহাম্মদ নাঈমও চেনা পরিবেশে অচেনা। এবার আউট হলেন ২ রানে। এরপর আফিফ-নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। শাহিন আফ্রিদিকে ৬ মেরে ইনিংস শুরু করা আফিফ ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। বিলিয়ে আসেন উইকেট। ভেঙে যায় ৪৬ রানের জুটি। পাওয়ার প্লে থেকে আসে ৩৬ রান।

আফিফ ফিরলে শান্তর সঙ্গে হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়ার পরও মাহমুদউল্লাহ কাজে লাগাতে পারেননি। অথচ দুজনের জুটিটা দীর্ঘ করা ভীষণ প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ১৫ বলে ১২ রান করে মাহমুদউল্লাহ আউট হলে ভাঙে ২৮ রানের জুটি। শান্ত একাই লড়ার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন। সঙ্গী কাউকে পাননি। তিনি ৩৪ বলে ৪০ রান করেন। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে খেলতে পারেননি হাত খুলে। বাংলাদেশের ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ রান হলেও এটি টি-টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস ছিল না।

গতকাল সোহান-মেহেদী দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন। আজ আর তাদের ব্যাট কথা বলেনি। দুজনের জুটি থেকে আসে ৬ রান। শেষ দুই জুটি থেকে যোগ হয় ২০ রান। ইনিংসের শেষ ২৭ বলে বাংলাদেশ মাত্র ২০ রান করে। অথচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই সময়টাতেই বেশি রান ওঠার কথা। সোহান-আমিনুলের জুটি থেকে আসে ১৮ বলে ১৪। আর তাসকিন-আমিনুলের জুটি থেকে আসে ৯ বলে ৬ রান। সোহান ১৩ বলে ১১ ও আমিনুল ১৬ বলে ৮ রান করেন।

বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণের ম্যাচে নজর কেড়েছেন এক দর্শক। নর্দার্ন গ্যালারি থেকে এক দর্শক মাঠের পাশে লোহার উঁচু দেয়াল পেরিয়ে চলে যান মাঠে। এই দর্শক যখন নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন থেকে মাঠ কর্মীরা দেখছিলেন, তাকে চোখে চোখে রাখছিলেন। কিন্তু অবাক করা বিষয় তার সঙ্গে দৌড়ে পারেননি কেউ-ই। মাঠে গিয়েই বোলিং প্রান্তে এই দর্শক হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পা ছোঁয়ার চেষ্টা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের। পরে মোস্তাফিজও ১ বলে করে মাঠ ছেড়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM