এমএলএম কোম্পানিতে জড়ালেন মৌসুমী, সানি ও মিশা সওদাগর

0

চিত্রনায়িকা মৌসুমী আমেরিকার রাজপথে, দামি এক গাড়িতে। চলতি পথেই গাড়ির পেছনের সিটে বসে নতুন ঘোষণা দেন তিনি।

এই ঘোষণা এমএলএম কোম্পানিতে যোগদানের। গাড়িতে তার পাশে যে মানুষটি ছিলেন তিনি দুদকেরসহ একাধিক মামলার আসামি মাসুদ রানা।

কয়েক বছর আগে গণমাধ্যমে রানার এমএলএম প্রতারণার খবর বের হলে তিনি আমেরিকা পালিয়ে যান। এখন সেখানে বসে তিনি নতুনভাবে শুরু করেছেন এমএলএম ব্যবসা।

ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। মৌসুমীর সঙ্গে এই তালিকায় আছেন তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর।

তারাও মার্কিন এমএলএম কোম্পানি জেনাস গ্লোবালের পণ্য বিক্রি করে বিপুল আয়ের প্রলোভন দেখাচ্ছেন।
মালটিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বহুস্তরবিশিষ্ট বিপণন পদ্ধতিতে নিজস্ব কিছু ‘স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য’ বিক্রি করে জেনাস। এটি আমেরিকা থেকে পরিচালিত হয়। গত দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে জেনাস ওয়ার্ল্ডের কর্মকাণ্ড। বাংলাদেশে এদের কোনো অনুমোদন নেই। এর পরও জেনাস এ দেশে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে শুধু মাসুদ রানার দলেই ৬০ হাজার পরিবেশক আছেন বলে তিনি একটি অনলাইন সভায় দাবি করেছেন। জেনাস কিছু প্রসাধন সামগ্রীর পাশাপাশি ওষুধের মতো কাজ করে এমন পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করে।

দেশে একই এমএলএম কম্পানির আরেকজন শীর্ষ দলনেতা আবু সায়েম মাসুম। তার দলেও বিপুলসংখ্যক সদস্য বা পরিবেশক আছেন। সব মিলিয়ে এরই মধ্যে লাখের বেশি মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

পণ্য বিক্রির অর্থ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন দেওয়া হবে—এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিশেষ করে তরুণদের জেনাসে যুক্ত করা হচ্ছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবেই জেনাসের হিসাবে অন্তত ২০ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া আরো বড় প্যাকেজ আছে, যেগুলো কিনলে দ্রুত ‘র্যাংক’ বা পদ পাওয়া যাচ্ছে। তবে জেনাসে যুক্ত হওয়া বেশ কয়েকজন পরিবেশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেনাস আর দশটা এমএলএমের মতোই। এখানেও রয়েছে সূক্ষ্ম কারচুপি ও প্রতারণার ফাঁদ। ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

জয়নিউজ/পিডি

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM