সংখ্যালঘু–সংখ্যাগুরু দিয়ে বিচার করার সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনারা নিজেদের ক্ষুদ্র সম্প্রদায় মনে করবেন কেন? আপনারা এই মাটির সন্তান। এখানে সবার সমান অধিকার। এখানে সংখ্যালঘু–সংখ্যাগুরু দিয়ে বিচার করার সুযোগ নেই। সে আত্মবিশ্বাসটা আপনাদের মধ্যে থাকতে হবে।’

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টেবর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

- Advertisement -google news follower

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। সংবিধানে সব ধর্মের সমান অধিকার আছে। কিছু মানুষ ধর্মান্ধ বলে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। শুধু মুসলমানদের মধ্যে না, সব ধর্মের মধ্যেই এই ধর্মান্ধতা আছে।’

কুমিল্লার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। যে জড়িত, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, খুঁজে বের করা হবে। এখন তো তথ্য প্রযুক্তির যুগ। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এ কাজ করা হচ্ছে।’

- Advertisement -islamibank

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা অপরাধীদের এমন শাস্তি দেবো, যেন ভবিষ্যতে কেউ এরকম করতে সাহস আর না পায়। কেননা, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘গতবার করোনার কারণে পূজা সীমিত পরিসরে হয়েছিল। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় মণ্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ১ হাজার ৯০৫টি মণ্ডপ বেড়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবার শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন হচ্ছে। মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত আছে। যখন অস্থায়ী মন্দির হয়, তখনই কিছু লোক সুযোগ নেয়। পূজা উদযাপন পরিষদসহ যারা আছেন, তারা বিষয়টি যেন মনিটরিং করেন। কোথায় কতগুলো মণ্ডপ হবে, তারা নির্ধারণ করতে পারেন।’

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও অনুরোধ করব, তারাও যেন মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা করেন। আমি চাই, দেশের মানুষ সুন্দরভাবে উৎসব উদযাপন করবেন। তারা ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবেন, সেটিই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।’

মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্নাত্মানন্দ মহারাজ, মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM