শারদ আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, বাতাসে শিউলির সৌরভ আর শুভ্র কাশফুলের দোলই জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গার মর্তে আগমনীর। আজ মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হলো হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতার ক্ষণগণনা। এ দিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের।
নগরজুড়ে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শারদ উৎসবে আরাধ্য দেবী মহামায়াকে বরণ করে নিতে নগরের ২৭৬টি পূজা মণ্ডপে চলছে জোর প্রস্তুতি। এদিকে করোনার কারণে গতবছর সীমিত পরিসরে পূজা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকটাই জাকজমকভাবে উৎসব পালন করা যাবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
চট্টেশ্বরী কালী মন্দিরের সেবায়েত দেবু চক্রবর্তী জানান, এখন পুরোদমে পূজার প্রস্তুতি চলছে মণ্ডপে। প্রতিমা তৈরির কাজও প্রায় শেষের পথে। গতবার করোনা মহামারির কারণে গতবছর অনেকটাই ফিকে ছিল। তাই এবার বর্ণিল ও জাকজমকভাবে আয়োজনে উৎসব পালন করা হবে। তবে সবার স্বাস্থ্যবিধিও যাতে নিশ্চিত হয় সেব্যাপারেও নজর রাখা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে নগরের বেশিরভাগ প্রতিমালয়ে প্রতিমা তৈরির অবকাঠামোর কাজ শেষ। এখন দেবী দূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিনরাত রং-তুলির কাজ করে যাচ্ছেন শিল্পীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের সদরঘাট, হাজারী লেইন, গোয়ালপাড়াসহ বিভিন্ন প্রতিমালয়গুলোতে প্রতিমাকে রঙ-তুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা। চলছে সাজ-সজ্জার কাজও। দেবী দুর্গার সাথে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী দেবীকেও। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই মৃৎশিল্পীদের।
নগরের গোয়াল পাড়ার মঙ্গলপাল প্রতিমালয়ের স্বত্বাধিকারী রঞ্জান পাল জানান, গত বারের থেকে এবারের চাপটা একটু বেশি। এ বছর পূজার আগে করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় গত বারের চেয়ে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। সবকটি প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ। এখন রং তুলির কাজ চলছে।
তিনি জানান, আগামী দুই তিন দিনের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। রং ও সাজ সজ্জার কাজ শেষ হলে এখান থেকে প্রতিমাগুলো বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে পাঠানো হবে।
আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দূর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী এ দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
জয়নিউজ/পিডি