সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় মদ খেয়ে দুই নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু হেয়েছে। তারা হলেন— খাগড়াছড়ির ওয়াকার্কপাড়ার মৃত বৃন্দমোহন ত্রিপুরার ছেলে দহরঞ্জন ত্রিপুরা (২২) ও হরিগঞ্জ পাড়ার দজেন ত্রিপুরার ছেলে ধনেশ্বর ত্রিপুরা (২২)।
এছাড়া একই এলাকার জ্যেতি রায় ত্রিপুরার ছেলে সীমানা ত্রিপুরা (২৫) ও পানছড়ির খর্গ পাড়ার মৃত বরুন মোহন ত্রিপুরার ছেলে স্বপন ত্রিপুরা (২৬) অসুস্থ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সোনাইছড়ির জোড় আমতল এলাকার এসএম শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নামের একটি জাহাজভাঙা কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যান দহরঞ্জন ত্রিপুরা ও শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে মারা যান ধনেশ্বর ত্রিপুরা।
এসএম শিপ ইয়ার্ডের ইনচার্জ টিটু সরকার জানান, আমাদের এখানে প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১২ জন প্রহরী ডিউটি করেন। ওইদিনও দহরঞ্জন, সীমানা ত্রিপুরা, ধনেশ্বর ত্রিপুরা ও স্বপন ত্রিপুরা ডিউটিতে ছিলেন। আমি রাতে রুমে ঘুমিয়ে ছিলাম। পরদিন ভোরে তারা বমি করতে থাকলে তাদের মধ্যে একজন আমাকে ডেকে তুলেন। আমি তাৎক্ষণিক মালিককে অবহিত করি। তিনি আমাকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে তাদের চমেকে ভর্তি করা হয়। পরে জানতে পারি তারা রাতে মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুক্রবার রাতে দহরঞ্জনের মৃত্যু হয়। আজ (শনিবার) সকালে ধনেশ্বরেরও মৃত্যু হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মদ পান করে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন বলেন, গুরুতর অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে একজন ও শনিবার ভোরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।