লকডাউনে ফাঁকা নগর, সড়কে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

করোনার সংক্রমণ রোধে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’।

- Advertisement -

সকালে নগরের রাহাত্তারপুল, চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, ২ নম্বর গেইট, জিইসির মোড়, লালখান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার সড়কে কিছু প্রাইভেট গাড়ি আর রিকশা চলছে। তবে নেই কোনো গণপরিবহন।

- Advertisement -google news follower

লকডাউনে ফাঁকা নগর, সড়কে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী | 173220288 518275736002452 6466622067702337669 n

এসব এলাকায় রাস্তায় মানুষজনও তেমন নেই বললে চলে। এছাড়া লোকজনের ভিড় ঠেকাতে নগরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা কঠোরভাবে পাহারা দিচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

- Advertisement -islamibank

লকডাউনে ফাঁকা নগর, সড়কে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী | 173424377 497527958071695 2718701113827435840 n

এদিকে শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব পরিবহন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি অনেক প্রতিষ্ঠান। এনিয়ে শ্রমিকদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। নগরের ইপিজেট এলাকায় দেখা যায় শ্রমিকরা কর্মস্থলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে লেনদেনের সুবিধার্থে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে ব্যাংকও।

নগরের বাজারগুলোতে ক্রেতাদেরও তেমন ভীড় নেই। তবে রোজার কারণেই সকালে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি কম বলছেন বিক্রেতারা।

লকডাউনে ফাঁকা নগর, সড়কে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী | 173917213 286387153086985 3824271466135486459 n

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এছাড়া বন্ধ থাকবে শপিংমল। অন্যদিকে কাঁচাবাজারে কেনাবেচা হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্দিষ্ট সময় শুধু খাবার বিক্রি, সরবরাহ করতে পারবে।

এই সময় অতি জরুরি দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে যাওয়া যাবে। এছাড়া বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল বন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন: কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

জয়নিউজ/হিমেল/পিডি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM