জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৫৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন এমপি।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন যৌবন উৎসগ করছিলেন ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। তাদের এখন চাওয়ার কিছু নেই। আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। এখনও আমরা যারা বেঁচে আছি, না থাকলে এইসব সংরক্ষণ হবে না। আমি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাবো যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সকল স্থাপন সংরক্ষণ করা হোক।
যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মিরসরাইয়ের শুভপুরব্রীজটি ছিল তৎকালীন ঢাকা ও চট্টগ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। সে সময় চট্টগ্রামে প্রবেশের জন্য এটি ছাড়া বিকল্প আর কোনো ব্রীজ ছিল না । আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, শুভপুরব্রীজটি যদি কোনো উপায়ে ধ্বংস করা যায় তাহলে পাকিস্তানি সৈন্যরা চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা চট্টগ্রামকে স্বাধীন রেখেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবো।
‘আজ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটির জন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। ধারাবাহিকভাবে তারা সকল স্থাপনা সংরক্ষণ করবে বলে জেনেছি। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। জেলা পরিষদের সচিব মো. রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শাব্বির ইকবাল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, সাবেক গণপরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আবু মনসুর, যুদ্ধকালীন বিএলএফ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, যদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস।