বুলেট ট্রেন প্রকল্পে অর্থায়নে রাজি চীনের দুই প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশে স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও এক ধাপ এগোল  রেলওয়ে। প্রকল্পের জন্য অর্থ জোগাড় ও নির্মাণে সহায়তায় রাজি চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান।

- Advertisement -

প্রকল্পের এক লাখ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ সময় পাবে ২০ বছর। চীনের প্রস্তাব বিবেচনা করছে রেলওয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর শুরু হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেনের চূড়ান্ত কার্যক্রম।

- Advertisement -google news follower

বুলেট ট্রেনের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মাত্র ৫৫ মিনিটে রাজধানী থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছে যাবে। অনেকটা অবিশ্বাস্য হলেও সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সমীক্ষা অনুযায়ী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২২৭ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। থাকবে ৬টি অত্যাধুনিক রেলস্টেশন। পথের পুরোটাই হবে সংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থা সম্পন্ন। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার মিটার। রূপকথার মতো এই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ হাজার কোটি টাকা।

- Advertisement -islamibank

এ বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস খুঁজছিল রেলওয়ে। সেই অর্থের জোগান ও নির্মাণে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে চায়না রেলওয়ে কন্সট্রাকশন করপোরেশন ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। যারা যৌথভাবে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে প্রয়োজনীয় ঋণের সংস্থান ও নির্মাণের দায়িত্ব নেবে। পরে সেই ঋণ পরিশোধ করবে রেলওয়ে।

প্রতিষ্ঠানটি ৫ বছর রেলপথটি পরিচালনা করে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করবে। এ সময় অর্জিত অর্থ জমা হবে রেলের কোষাগারে। ঋণ শোধের জন্য বাংলাদেশ সময় পাবে ২০ বছর।

প্রকল্প পরিচালক কামরুল আহসান জানান, এ বছরই চীনের সঙ্গে কাজ শুরু করতে চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই শুরু হবে দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণের চূড়ান্ত কার্যক্রম। চায়নার দুটি কোম্পানি থাকবে আর রেলওয়ের সহযোগিতা থাকবে। তারা ঋণ ম্যানেজ করে দেবে।

জয়নিউজ/পিডি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM