কাতারে বাংলাদেশসহ ৫ দেশের সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু

১০ বছর আগে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের স্থান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাতারে ছয় হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকে যাওয়া শ্রমিক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।

- Advertisement -

সংগৃহীত সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরের যেই রাতে দোহা ভেন্যু নির্বাচিত হওয়ার উৎসব উদযাপন করছিল, সেই রাত থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি সপ্তাহে এশিয়ার পাঁচ দেশের ১২ শ্রমিক মারা গেছে।

- Advertisement -google news follower

২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার পাঁচ হাজার ৯২৭ জন শ্রমিক মারা গেছে। এর মধ্যে ভারতের দুই হাজার ৭১১ জন, নেপালের এক হাজার ৬৪১ জন, বাংলাদেশের এক হাজার ১৮ জন, পাকিস্তানের ৮২৪ জন এবং শ্রীলঙ্কার ৫৫৭ জন শ্রমিক।

মৃত্যুর এই সংখ্য অবশ্য সর্বমোট নয়। কারণ এর মধ্যে ফিলিপাইন ও কেনিয়াসহ অন্যান্য দেশের মারা যাওয়া শ্রমিকদের অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। এমনকি ২০২০ সালের শেষ মাসগুলোতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদেরও এই তালিকায় যোগ করা হয়নি।

- Advertisement -islamibank

২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনকে সামনে রেখে গত ১০ বছর ধরে কাতার বিপুল সংখ্যক ভবন নির্মাণ করেছে। এসব প্রকল্পের বাইরে নতুন সাতটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া একটি নতুন বিমানবন্দর, গণপরিবহন ব্যবস্থা, হোটেল এবং নতুন একটি শহর নির্মাণের কাজ হয় শেষের পথে নতুবা শেষ হয়ে গেছে।

উপসাগারীয় অঞ্চলে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফেয়ার স্কয়ার প্রজেক্টসের পরিচালক নিক ম্যাকগিহান জানান, পেশা কিংবা কর্মস্থল হিসেবে মারা যাওয়া শ্রমিকদের শ্রেণি বিন্যাস করা হয়নি। তবে এই তালিকার অধিকাংশকে বিশ্বকাপ আয়োজনের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM