কাদের মির্জাকে বিকেলে অব্যাহতি, সন্ধ্যায় প্রত্যাহার

0

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা কমিটি দল থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন্দ্রে বহিষ্কারের সুপারিশ পাঠালেও সন্ধ্যা ৭টার পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং যেহেতু বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফতরে বিবেচনাধীন তাই এ সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে এদিন বিকেলে তিনি (নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম) ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর দলীয় প্যাডে যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে আবদুল কাদের মির্জাকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিগত কয়েক সপ্তাহ থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন বক্তব্য ও আপত্তিজনক উক্তি, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য এবং নেতা-কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’

ওই চিঠির জবাবে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। এটি একটি অবৈধ কমিটি। এ কমিটির কোনও অস্তিত্ব নেই।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বসুরহাট পৌর নির্বাচনের প্রচারণায় নেমে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদেরসহ বেশ কিছু ইস্যুতে একের পর এক সমালোচনা করে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা।

তার সেই রাজনৈতিক বক্তব্যের বেশিরভাগই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় কিছু নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে হওয়ায় নোয়াখালীসহ সারাদেশে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। জয়ী হয়ে শপথ নিতে যাওয়ার পথে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাও ঘটে। তিনি আওয়ামী লীগ অফিসে এসে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM