সীতাকুণ্ডে একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাঁচ তরুণের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার (১২ অক্টোবর) হোটেল ম্যানেজারসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত পৌরসদর ডিটি রোডের জলসা আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে মো. আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বার বাড়ির মো. জামাল উল্লাহর ছেলে মো. রিফাত (১৯), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মো. ইমন ইসলাম (২০), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রনি (২০), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২২), আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন (২২) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার নুর উদ্দিন (৩৮)।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক। তিনি জানান, উপজেলার মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়নের সঙ্গে এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় মিরসরাই উপজেলার ওই তরুণীর। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে নয়নের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়।
তরুণীর করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার নয়ন মোবাইল ফোনে কথা বলে ওই তরুণীকে সীতাকুণ্ডে আসতে বলে। তরুণী সীতাকুণ্ডে গেলে প্রেমিক নয়ন ও তার বন্ধুরা তাকে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরায়। এরপর বিশ্রামের কথা বলে রাতে পৌরসদর ডিটি রোডের জলসা হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ৪র্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে তাকে আটকে রাখে। পরে নয়ন তরুণীকে জোর করে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ায়। এরপর তাকে পর পর তিনবার ধর্ষণ করে।
রাত ১০টার দিকে নয়ন খাবার আনার কথা বলে হোটেলের নিচে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও ৫ যুবক পর্যায়ক্রমে রুমে গিয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর তারা বাইরে চলে যায়।
রাত ২টার দিকে হোটেল ম্যানেজার তরুণীকে জানান, আরও তিনজন যুবক হোটেলে আসবে। এ কথা শুনার পর তরুণী আরেকটি রুমে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। তিন যুবক তখন তরুণীকে না পেয়ে নিচে চলে যায়।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, রাত ২টার পর ওই তরুণী হোটেল থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু গাড়ি না থাকায় বাস স্ট্যান্ডেই বসে থাকতে হয় তাকে।
এরপর সোমবার সকালে তরুণী সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ দিনভর বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে হোটেল জলসার ম্যানেজারসহ সাতজনকে আটক করে।