নগরে আগাম নবান্ন

পাহাড়-নদী-সাগর এই তিনে মিলে চট্টগ্রাম শহর। নগরের যে প্রান্তে হোক এখনো সবুজের দেখা মিলবেই। তবে অপরিকল্পিত নগরায়ন দিনে দিনে এ নগরের রূপলাবণ্য অনেকটাই ম্নান করেছে। খুব বেশিদিনের কথা নয় শহরের যে স্থানে চাষাবাদ হতো সেখানে এখন সুরম্য দালান। তবে ইট-পাথরে নিষ্প্রাণ হতে চলা এ নগরের পুরনো রূপের সামান্য আলোকছটা মিলবে হালিশহরে।

- Advertisement -

বাংলা পঞ্জিকা বলছে এখন আশ্বিনের মাঝামাঝি। শরতের শুভ্র আকাশে মেঘের নিত্য লুকোচুরি। এর মধ্যেই আনন্দবাজার বেড়িবাঁধ এলাকার বিস্তৃণ জমিতে এখন সোনালি ধানের হাসি।

- Advertisement -google news follower

নগরে আগাম নবান্ন

ধানের এই হাসি এত গরমেও যে কৃষকের প্রাণে প্রশান্তির দোল দিয়ে যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

- Advertisement -islamibank

কয়েকজন কৃষক এক মনে ধান কেটে যাচ্ছেন। তারপর দল বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন ঘরে। এ যেন প্রাচীন বাংলার সেই চিরাচরিত ছবি।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার প্রায় ৪০ একরের উপর জমিতে ধানচাষ হয়েছে। ফলনও আশানুরূপ।

নগরে আগাম নবান্ন

কিন্তু কৃষকের রক্ত চুষে খেতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে জোঁকের মতো লেগে রয়েছে ফড়িয়ারা। সরকার ধানের মূল্য ২৬ টাকা নির্ধারণ করলেও ফড়িয়াদের দর ২০ টাকা!

দরিদ্র এই কৃষকদের ঘরে ধান সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। বর্গা জমির হিস্যা মিটিয়ে কতটুকুই বাথাকে। যারা আবার সুদে ঋণ করেছেন তাদের এখন ত্রাহি অবস্থা।

নগরে আগাম নবান্ন

এ অবস্থায় সচেতন মহল মনে করছে, কৃষকের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করেতে হবে রাষ্ট্রকেই। তাহলেই বাঁচবে কৃষক, বাঁচবে দেশ।

জয়নিউজ/পিডি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM