করোনার কারণে চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হলেও ‘অটো প্রমোশন’-এর সুযোগ পাবেন না শিক্ষার্থীরা। যেকোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে তাদের নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। কিসের ভিত্তিতে এই মূল্যায়ন হবে সেজন্য কয়েকটি বিকল্প ঠিক করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বছর জেএসসি-জেডিসিতে প্রায় ২৫ লাখ পরীক্ষার্থী ছিল । করনোর কারণে গত ২৭ আগস্ট সরকার এই দুই পরীক্ষা বাতিল করে। এর আগে একই কারণে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বাতিল করা হয়।
জেএসসি ও জেডিসি বাতিলের সময়ই বলা হয়েছিল স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন করবে। আজকের সভায় মূলত জেএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় মূল্যায়নটি কীভাবে হবে সেটি ঠিক করা হয়েছে।
যেভাবে মূল্যায়ন হবে
জেএসসি পরীক্ষা বাতিল হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের যেকোনো পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) একটি নির্দেশনা তৈরি করে দেবে। এ নির্দেশনা তৈরির মূলনীতি হবে করোনা শুরুর আগে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যতটুকু ক্লাস হয়েছিল সেটি এবং এরপর সংসদ টিভি ও অনলাইনে যতটুকু ক্লাস হয়েছে সেটিকে বিবেচনা নিয়ে। এর সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাস শুরু করা গেলে সেই ক্লাসগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা। আর না খুললে ১৫ মার্চ পর্যন্ত নেওয়া ক্লাস এবং টিভি ও অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এই মূল্যায়নটি করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তখন যদি সশরীরে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটা করা। আর যদি সম্ভব না হয়, তাহলে অনলাইনসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এই মূল্যায়ন করবে। এই মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে হবে, নাকি অন্য উপায়ে করা হবে সেটি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সুবিধামতো ঠিক করে নেবে। তবে মূল্যায়ন একটি হবেই। আর পাঠ্যসূচির যে বিষয়গুলো পড়ানো সম্ভব হবে না, সেটি নবম শ্রেণির ক্লাসের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হবে।
জয়নিউজ
