ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

বেলা ১২টা। হঠাৎ একটি সিএনজি অটোরিকশা থামল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। ষাটোর্ধ্ব ইউনুছ মিয়া কাঁপা কাঁপা পায়ে নামলেন অটোরিকশা থেকে। এক ঘোর অমানিশা যেন তাঁকে ঘিরে আছে। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

- Advertisement -

ধরাধরি করে বড় ছেলে আইয়ুব আলীকে (৪৮) ধরে অটোরিকশা থেকে স্ট্রেচারে নামানো হলো। ছোট ছেলেসহ ইউনুছ মিয়া ছুটলেন জরুরি বিভাগের দিকে। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে ভুগছিলেন কর্ণফুলির শিকলবাহার আইয়ুব আলী। স্বজনরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে। কিন্তু কোনো হাসপাতাল রাজি হয়নি আইয়ুবকে ভর্তি নিতে। শেষে বাধ্য হয়েই নিয়ে আসা হয় চমেকের করোনা ওয়ার্ডে।

- Advertisement -google news follower

ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি | DSC 0019

বাবা ইউনুছ মিয়া বলেন, আমার ছেলেটা জ্বর আর শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। কোনো বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি। তাই নিরুপায় হয়ে আজ চমেকে এসেছি। প্রায় চারদিন ধরে বাড়িতে অক্সিজেন লাগিয়ে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি। ছেলের কষ্ট আমার সহ্য হচ্ছে না।

- Advertisement -islamibank

শুধু আইয়ুব আলী নন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন রোগী আসছে চমেক হাসপাতালে।

ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি | DSC 0042

আর এই বাড়তি রোগীর চাপ সামালাতে বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। রোগী বেশি থাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাও যাচ্ছে না। আর এ অবস্থার জন্য চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে দায়ী করছেন সবাই।

সোমবার (২২ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে ছবিগুলো তোলা।

জয়নিউজ

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM