দেশে করোনা চিকিৎসায় ৩৯৯ আইসিইউ

0

মহামারি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট বরাদ্দকৃত ৩৯৯টি আইসিইউ থাকলেও ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপে তা অতি নগণ্য। অথচ বিভিন্ন হাসপাতালে সবকিছু ঠিকঠাক হয়েও চালুর অপেক্ষায় আছে প্রায় ৪০টি আইসিইউ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালে আইসিইউ নিয়ে টানা হেঁচড়ায় বেরিয়ে এসেছে দেশের স্বাস্থ্য খাতের এই দৈন্যদশা। করোনা প্রভাবে নতুন যে কয়েকটি আইসিইউ স্থাপনের পরিকল্পনা পাশ হয়েছে তাও আগষ্টের আগে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাকালে এসে স্বজন হারানো বেদনার গল্প জমছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আইসিইউ-এর একটি বেডের জন্য হাকাকার। এদিক-ওদিকে দিশেহারা হয়ে ঘুরে এ্যাম্বুলেন্সই প্রাণ হারিয়েছেন অনেক রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, দেশে কোভিড মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মোট বরাদ্দকৃত আইসিইউর সংখ্যা ৩৯৯। এর মধ্যে ২৫৬টি ঢাকায়, ১৩৪টি অন্যান্য জেলায়।

অথচ সারা দেশে এখন পর্যন্ত (৭ জুন) করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। এদের মধ্যে প্রায় আট হাজার রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাসায় চিকিৎসাধীন। মোট রোগীর ৫ শতাংশের বেশির আইসিইউ’র প্রয়োজন হয়। এতে প্রায় তিন হাজার রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট দরকার। অথচ সারা দেশে আছে মাত্র ৩৯৯টি। এর মধ্যে করোনার বাইরে অন্য রোগে আক্রান্তদেরও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র প্রয়োজন। সব মিলে এ ধরনের শয্যার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম সহকারি পরিচালক ডা. আয়েশা বলেন, করোনায় যারা সুস্থ হয়ে গেছে, তারা বেড খালি করে দিলে আরেকজনকে আইসিইউতে ট্রান্সফার করা যায়। এভাবেই চলছে আপাতত।

দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের জন্য আইসিইউ এর সংখ্যা মাত্র এক হাজার। এর মধ্যে ঢাকায় প্রায় চারশতাধিক ও ঢাকার বাইরে বাকি ছয়শ’।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের পর বছর অবহেলায় থাকা এই স্বাস্থ্যখাতের আসল চিত্র ফুটে উঠেছে এই করোনা সময়ে।

অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, এই জিনিসগুলো আমাদের পরিকল্পনার অভাব। আমার মনে হয়, যারা বাজেট করেন তারা স্বাস্থ্যটাকে খেয়াল করতে হবে।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তড়িঘড়ি করে যে আইসিইউ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে, সেগুলোকে সেবাদানের উপযোগী করতে সময় লাগবে আরো অন্তত তিন মাস।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই কোভিড সংকট আসার আগেই অন্তত সরকারি হাসপাতালের আইসিইউর সংখ্যা ডাবল করার জন্য কর্মসূচি নিয়েছিলাম।

জয়নিউজ/এসআই
KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM