করোনা পরিস্থিতিতেও বেতন পাচ্ছে না কাগতিয়া মাদরাসার শিক্ষকরা

0

করোনার ভয়াল থাবায় পুরো দেশ আজ স্তব্ধ। জীবন ও জীবিকার গুরুত্ব উপলব্ধি করে সরকার দীর্ঘ দুই মাস ঘরবন্দী থাকার পর ভয় ও শঙ্কার মধ্যেও ৩১ মে থেকে সবকিছু আবার সচল করলো।

এ করোনাকালে সরকার ঘরবন্দী অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে দফায় দফায়। কি গ্রামে, কি শহরে সরকারের প্রচেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু এ করোনা পরিস্থিতিতেও বেতন পাচ্ছেন না রাউজান উপজেলার কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম এ মাদ্রাসার ২৫জন শিক্ষক কর্মচারী।

২০১৯ সালের জুলাই থেকে তাদের বেতন উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংকে টাকা জমা হলেও ম্যানেজার সেই টাকা উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক কর্মচারীরা।

মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক মো. ফোরকান মিয়া জয়নিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই হতে হঠাৎ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ রাউজানের গহিরার জনতা ব্যাংকে জমা হলেও ব্যাংক ম্যানেজার তা প্রদান করছেন না। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে জিবি সভাপতি জানান।

এক প্রকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ মাস বেতন না পেলে বুঝতেই পারছেন শিক্ষকদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষরা কিভাবে বেঁচে থাকতে পারেন। কি কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বেতন উত্তোলন করতে দিচ্ছেন না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলেননি ।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন-এ ব্যাপারে আমরা অনেক দেন-দরবার করেছি। এমপি সাহেবেরও শরণাপন্ন হয়েছি, কিন্তু কিছুই হয়নি।

কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া একটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেন দিচ্ছেনা তা জনতা ব্যাংক গহিরা শাখার ম্যানেজারের কাছে জানার জন্য ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার জন্য রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে অনুরোধ জানিয়েছেন মাদরাসার শিক্ষা কর্মচারীরা।

জয়নিউজ/বিআর
KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM