করোনায় জমজমাট অনলাইন কেনাকাটা

করোনাভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। ফলে শুধু জামাকাপড় নয় অনলাইনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও কিনে নিচ্ছেন অনেকেই। এ সুযোগে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ই-কমার্সের বাজার।

- Advertisement -

ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিওয়াইএমএনটিএস এর এক জরিপে বলা হয, ২০২০ সালে ভোক্তাদের অনলাইন কেনাকাটা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে ৩০.৬ শতাংশ। যা প্রমাণ করছে করোনায় মানুষ গৃহবন্দী হওয়ায় অনলাইন নির্ভরতা বাড়ছে।

- Advertisement -google news follower

কোয়ান্টাম মেট্রিকের এক জরিপে বলা হয়, গত ২১ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনলাইন খুচরা বেচাকেনা বেড়েছে ১৪৬ শতাংশ।  এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন খুচরা কম্পানিগুলোর রাজস্ব বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। অনলাইন বেচাবিক্রিতে শীর্ষ কম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলিবাবা, আমাজন ও জেডি ডটকম।

বেচাকেনা বাড়ায় নতুন করে ১ লাখ কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে আমাজন। খেলার সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নিকও জানিয়েছে তাদের অনলাইন বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তিনমাসের ব্যবধানে চীনে তাদের বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

- Advertisement -islamibank

গত ২৭ এপ্রিল জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিশ্বে অনলাইন বেচাকেনা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। যা ২০১৭ সালের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি। ২০১৭ সালে এ বাজার ছিলো ২৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। বলা হয়, করোনাভাইরাসে বিশ্ব যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা থেকে উত্তোরণে সহায়কা হবে ই-কমার্স।

আইবিএম চায়নার সিইও অ্যালেইন বেনিচো বলেন, ‘করোনা সংকটের কারণে এটাই হচ্ছে নতুন স্বাভাবিকতা। এ মুহুর্তে আমরা যেভাবে কাজ করছি তাতে বদলে যাবার অনেক আহবান আছে।’

জয়নিউজ/পিডি

 

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM