সায়েদ হত্যা: ৩ কিশোর আটক

0

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কিশোর মো. সায়েদ (১৯) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ।

এদিকে, সায়েদের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। সায়েদ মগনামা বাজারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

আটকরা হলেন, মো. আবদুর রহিম (১৮) পিতা-নুরুল হোসাইন, বাপ্পি (১৭) পিতা-গুরা মিয়া ও জিয়াউর রহমান (১৬) পিতা-মো. ফরিদ। আটক তিন কিশোরের বাড়ি পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামে।

শুক্রবার দুপুরে মগনামার বাজারপাড়া গ্রাম থেকে পেকুয়া থানার পুলিশ ওই তিন কিশোরকে আটক করে।

জানা যায়, কিশোর সায়েদ বাড়ি থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর পেকুয়া-মগনামা ভোলা খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় ১৬ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মরদেহ উদ্ধারের সময় গলায় গামছা পেছানো ছিল।

নিহত সায়েদের মামা ও মগনামা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাহাদু জয়নিউজকে বলেন, সোমবার রাত থেকে তার ভাগিনা সায়েদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য সব জায়গায় সায়েদের খোঁজ না পেয়ে থানায় ডায়েরি করেছিল তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার ভোলা খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় সায়েদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ভাগিনা সায়েদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারপূর্বক কঠোর বিচার দাবি করেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল আজম জয়নিউজকে বলেন, নিহত সায়েদের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকালে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার ক্লু উদ্ধার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

জয়নিউজ/গিয়াস/বিআর

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM