বে-টার্মিনালে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে ৩ গুণ

২০১৩ সালের মাস্টারপ্ল্যানের মতে, আগামী ২০৪৩ সালে ১৪ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করবে বন্দর। যদিও বর্তমানে করছে মাত্র ৩ মিলিয়ন টিইইউস। এ জন্যই বে-টার্মিনালের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছে বন্দর।

- Advertisement -

প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং ১ হাজার ২২৫ ও ৮৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

- Advertisement -google news follower

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে বন্দর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এসব তথ্য জানান।

এসময় চেয়ারম্যান বলেন, জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৭ একর জমি বন্দরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাকী ৮০৩ একর জমি বরাদ্দের অনুমোদন হয়ে সহসাই হস্তান্তর করা হবে। প্রাথমিকভাবে ইয়ার্ড, ট্রাক টার্মিনাল ও বাউন্ডারি দেওয়ালের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

- Advertisement -islamibank

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বর্তমানে বন্দরের মূল জেটিতে জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফট ও ১শ‘ ৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভিড়ানোর যে সুযোগ, তার পরিবর্তে বেশি ড্রাফটের ও বড় জাহাজ দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ভিড়ানোর সুযোগ থাকবে।

বেড়েছে জাহাজ
বর্তমানে কনটেইনারবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই জেটিতে ভিড়ছে। ২০১৮ সালের তুলনায় বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮ সালে জাহাজে এসেছিল ৩ হাজার ৭৪৭টি জাহাজ আর ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০৭টিতে। জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমার সঙ্গে সঙ্গে বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার ডুয়েল টাইম কমে এসেছে। এতে করে আমদানিকারকদের সপ্তাহজুড়ে পণ্যের জন্য অপেক্ষোয় থাকতে হচ্ছে না।

বেড়েছে লাইটারেজ জেটি
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ আরো বলেন, বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য লাইটার করে খালাস করতে নদীর তীরে সদরঘাটে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি লাইটারেজ জেটি। এছাড়া আরো পনেরটি জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পর্যটন এলাকায় ক্রুজ শিল্প পরিচালনার জন্য একটি ক্রুজ টার্মিনাল, ব্লু ইকনোমির জন্য একটি মাইনিং টার্মিনাল ও বন্দর থেকে বে-টার্মিনাল পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।

বেড়েছে যন্ত্রপাতি
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের জন্য ১০টি শীপ টু শোর কী গ্যান্টি ক্রেনসহ ৫১টি ও দুটি মোবাইল হারবার ক্রেন ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগ্রহের প্রক্রিয়াধীন আছে দুটি বোলার্ড পুলের হাইপাওয়ার টার্গবোট। বিভিন্ন ইয়ার্ডের জন্য ১০৪টি নতুন ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের জন্য ডিপিপি সরকার অনুমোদন করেছে এবং তা পাইপ লাইনে আছে।

বেড়েছে সমুদ্রসীমা
পোর্ট লিমিট সাত নটিক্যাল মাইল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইলে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বন্দরের জলসীমা ছয়গুণ বেড়েছে।

জয়নিউজ/গিয়াস/বিআর
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM