চবিতে হলো না কোর কমিটির সভা, বুধবার সিদ্ধান্ত

২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ভর্তি আটকে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে ভর্তি সংক্রান্ত ‘কোর কমিটি’র পূর্বঘোষিত সভা হয়নি। ফলে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি হতে না পারা ওইসব ভর্তিচ্ছুদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

- Advertisement -

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় কাজে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ঢাকায় অবস্থান করায় নির্ধারিত সভাটি হতে পারেনি। মঙ্গলবার ( ৫ নভেম্বর) বিকেলে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

- Advertisement -google news follower

তবে প্রশাসন বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

এদিকে মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন ৩২৬ জন ভর্তিচ্ছু প্রক্টর বরাবর ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনেই অবস্থান করে তারা। প্রথমে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসলে সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়া এসে তাদের প্ল্যাকার্ড সরিয়ে নিতে বলেন।

- Advertisement -islamibank

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ভর্তিচ্ছু মিকাইল আহমেদ ফয়সাল জয়নিউজকে বলেন, আজকে সভা হয়নি। বুধবার এগারোটায় আবার আমাদের সময় দিয়েছে। আজ আমরা মানববন্ধন করিনি, শুধু অবস্থান নিয়েছিলাম। উপাচার্যের জন্য আমরা অপেক্ষা করব। তবে নেতিবাচক ফলাফল হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।

তিনি বলেন, প্রশাসন যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, আমাদের ভর্তি নেয় তাহলে মেধা তালিকায় থাকা সবাইকেই ভর্তি নিতে হবে। কারণ আমরা যারা চট্টগ্রামের কাছে আছি তারা আজ আবেদন করতে পারলাম, কিন্তু যারা দূরের বিভাগের তারা তো আবেদন করতে পারছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, প্রক্টর কার্যালয়ে তাদের আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। আমরা ৩২৬টি আবেদন পেয়েছি। এ বিষয়ে কোর কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে।

তিনি বলেন, আমরা বুধবার সকালে তাদের ডেকেছি। আজ উপাচার্য ছিলেন না।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে ভর্তি কমিটির সচিব ও একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এসএম আকবর হোছাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী কারো ২০১৮ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই এ বছর তার আবেদনের যোগ্যতা নেই। কিন্তু দেখা যায়, ১১ হাজার ৭৪১ জন মানোন্নয়নের পরীক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নীতিমালা অনুযায়ী ‘অযোগ্য’ বিবেচিত। যারা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় স্থান অর্জনও করেছে।

তবে তাদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ ছিল না। ফলে তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বাদ না দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

১ নভেম্বর জয়নিউজে ‘ডিনদের ভুলে চবিতে আবেদনের অযোগ্যরাও দিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সামনে আসে।

জয়নিউজ/নবাব/বিআর
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM