অগ্নিঝুঁকিতে নগরের প্রাণকেন্দ্র!

0

নগরের ব্যস্ত এলাকার একটি হাজারী গলি। গলি বলতে আভিধানিক অর্থে যা বোঝায় সত্যিকারভাবে এই এলাকাটি তেমনই। এই এলাকার মূল রাস্তা একেবারেই সরু। আবার এখানে রয়েছে ছোট ছোট অজস্র গলি। যেখানে গড়ে উঠেছে একের পর এক বহুতল ভবন।

নগরের সবচেয়ে বড় পাইকারি ওষুধ বিক্রির বাজারও এখানে। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে বাস করেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। এত মানুষ, এত দোকান, এত বহুতল ভবন কিন্তু কোথাও নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

একসময় এখানে একটি পুকুর ছিল। কিন্তু সেটিও ভরিয়ে ফেলায় নেই জলাধারের কোনো ব্যবস্থা। আবার এলাকাটি এতটাই সরু আগুন লাগলে যেতে পারবে না ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও! সবমিলিয়ে ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকিতে নগরের প্রাণকেন্দ্র হাজারী গলি।

কে সি দে রোড এবং বকশিরহাট পুলিশ বিট- দু’দিকেই যাওয়া যায় হাজারী লেইন এবং উভয়দিকের গলিই সরু!

চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জয়নিউজকে বলেন, সরু গলির কারণে অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে হাজারী গলি। একই অবস্থা এর উল্টোদিকের টেরিবাজারের রঘুনাথ বাড়ি, আফিমিগলিসহ আরো কয়েকটি গলির। এমনকি নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজার, সেন্ট্রাল প্লাজা, সিঙ্গাপুর মার্কেটসহ আরো কয়েকটি মার্কেট এবং অলিগলিও অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, এসব জায়গায় আগুন লাগলে অগ্নিনির্বাপণ গাড়িও ঢুকতে পারবে না। আমাদের পক্ষ থেকে অনেকবার তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কোথাও ফায়ার অ্যালার্ম নেই, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই, পানির কোনো সহজলভ্যতা নেই। কিন্তু আছে বৈদ্যুতিক তারের কুণ্ডলী। এসব জায়গায় আগুন লাগলে আমাদের কাজ করা শতগুণ কঠিন হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্থানীয় কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী জয়নিউজকে বলেন, সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো নিজেদের সচেতনতা। প্রাথমিক সুরক্ষাগুলো নিশ্চিত করা গেলে আগুনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সরু গলির জহুর হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৩২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়।

আগামী পর্বে: অসহায় ফায়ার সার্ভিস, শঙ্কায় শত কোটি টাকা!

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM