‘অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি’

মানবতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বাণী ছড়িয়ে দিতে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

- Advertisement -

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন।

- Advertisement -google news follower

‘ত্বরিকতের সেবার গুণগত মান উন্নয়নই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ এ প্রত্যয় নিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে আগত পাঁচশত কমিটি থেকে আটশ নির্বাচিত প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’ এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি কেন্দ্রিয় পর্ষদ সভাপতি রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় পর্ষদের সহসভাপতি অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর।

- Advertisement -islamibank

আরো বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের সচিব এএনএম এ মোমিন, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি মুহাম্মদ ইউসুফ, সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাঈল ও ট্রাস্টের কেন্দ্রিয় পর্ষদের সদস্যরা।

উদ্বোধনী পর্বে সবিশেষ আকর্ষণ ছিল ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি এবং গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ মাইজভাণ্ডারীর (মজিআ)-আশীষ বাণী।

তিনি তাঁর বাণীতে বলেন, “বর্তমান অবক্ষয়পূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে তরিকত চর্চার বিকল্প নেই, মাইজভাণ্ডারীয়া তরিকার শিক্ষা, ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে কার্যকরভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক সুকুমার বৃত্তির উন্মেষ ঘটানো সম্ভব।”

কেন্দ্রিয় সভাপতি বলেন, মাইজভাণ্ডারীয়া তরিকার নীতি আদর্শ, মানবতা, বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতার বাণী সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উপযুক্তভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্র হিসেবে এ সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সভায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন, হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক মোরশেদ। নাতে রাসূল (দ.) পরিবেশন করেন, মোহাম্মদ আরমান উদ্দিন ও মাইজভাণ্ডারী গজল পরিবেশন করেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন।
ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইনের সঞ্চালনায় ট্রাস্টের কর্মকাণ্ডের উপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও লিখিতভাবে ট্রাস্টের কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পরে গাউসিয়া হক মঞ্জিলে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (কঃ) পবিত্র সান্নিধ্যে থেকে ‘মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকা’র যে সেবা প্রদান করেছেন তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ নয়জনকে ‘সম্মাননা স্মারক’ (মরণোত্তর) এবং ১০ জনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

জয়নিউজ/বিআর
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM