চবি সাংবাদিকতা বিভাগের রজতজয়ন্তী ডিসেম্বরে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

- Advertisement -

শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

- Advertisement -google news follower

সভায় বক্তারা বাংলাদেশের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিদ্যায়তনিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার অগ্রদূত প্রতিষ্ঠান চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ পরিবারের রজতজয়ন্তী মিলনমেলাকে সর্বাত্মক সফল করার আহ্বান জানান।

সভা থেকে আগামী ১৯ ডিসেম্বর চবি ক্যাম্পাসে সকালে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, প্রীতি স্মৃতিচারণ, মধ্যাহ্নভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ২০ ডিসেম্বর নগরীতে প্রীতি স্মৃতিচারণ, মেজবান ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

- Advertisement -islamibank

দুইদিনের কর্মসূচিতে দেশবরণ্য সাংবাদিকতার কৃতি ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি ও বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সপরিবারে আনন্দ উৎসবে মিলিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।

রজতজয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি কমিটিও গঠন এবং অংশগ্রহণেচ্ছুদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুলের সঞ্চালনায় এতে মুখ্য অতিথি ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মাধব চন্দ্র দাশ, রাজীব নন্দী, সুবর্ণা মজুমদার এবং এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্লাহ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন এলামনাই এসোসিয়েশনের দ্বৈপায়ন বড়ুয়া, তাজুল ইসলাম, আসিফ সিদ্দিকী, নূরউদ্দীন মিলন এবং উত্তম সেনগুপ্ত।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিলে এখন একটি বৃহৎপরিবার। এই পরিবার দেশের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ চর্চাকে বিকশিত করছে। মিলনমেলা সেই বিকশিত ক্ষেত্রের উৎসব চেহারায় পরিণত হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সাংবাদিকতা বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও ৮ মার্চ তা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অনুমোদন দেয়। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর কলা অনুষদের তৎকালীন ডিন অধ্যাপক হায়াৎ হোসেনকে বিভাগের প্রথম সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিভাগের যাত্রা শুরু হয় এবং পরের বছর থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় সাংবাদিকতা বিভাগে। যা পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ করা হয়। বিভাগ শুরুর প্রথমদিকে এটি কলা অনুষদের অধীনে থাকলেও পরবর্তীতে তা সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে স্থানান্তর করা হয়।

জয়নিউজ/নবাব/এসআই
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM