চবিতে বাজেট অনুমোদন, গবেষণায় রেকর্ড বরাদ্দ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বরাবরের মতই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাজেটে।

- Advertisement -

এতে বরাদ্দ আছে ২১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে গবেষণা খাতে এবারও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।

- Advertisement -google news follower

শনিবার (২৭ জুলাই) উপাচার্য কার্যালয়ের সভাকক্ষে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে ৩১তম সিনেটে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।

এতে মোট বাজেটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা বাজেট ছিল ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের ৩৩৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংশোধিত বাজেট ঘোষিত হয়।

- Advertisement -islamibank

বারে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তাবিত মূল বাজেট ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা চাহিদার অনুকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ৩৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে বরাদ্দ পাওয়া যায়।

এ বরাদ্দ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা সমন্বয় করে ৩১৬ কোটি টাকা নীট বরাদ্দ পাওয়া যায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাস্তবতা যাচাই-বাছাই করে ৩৩৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয়। ঘাটতি বাজেট রয়েছে ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বাজেটে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আর ভাতা বাবদ রাখা হয়েছে ৮ কোটি ৯৩২ লাখ টাকা। বেতন-ভাতা বাবদ মোট বরাদ্দ ২১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৬৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

অন্যদিকে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ০.৬১ শতাংশ। এক্ষেত্রে গবেষণা প্রকল্পে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অন্যান্য গবেষণায় ৭৫ লাখ ও এমফিল/ পিএইচডি গবেষণায় ৭০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

বাজেটে প্রতি শিক্ষার্থীর পিছনে বাৎসরিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৭৪ টাকা। এর বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৭৫ টাকা। বাজেটের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে চিকিৎসায় ৫১ লাখ, পরিবহন ২ কোটি ১০ লাখ, বইপত্র, সংবাদপত্র ও সাময়িকী খাতে ৮৭ লাখ টাকার বাজেট ধরা হয়েছে।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর পিছনে সরকারের বিশাল ভর্তুকি শুধুমাত্র অসচ্ছল-মেধাবী শিক্ষার্থীদের যোগ্যতর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করার আন্তরিক প্রয়াস ছাড়া কিছু নয়, যাতে তারা ভবিষ্যতে আলোকিত মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠে দেশ-জাতির উন্নয়ন- কল্যাণে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখতে পারে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত), সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

জয়নিউজ/নবাব/বিআর
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM