কাঠপাচারের স্বর্গরাজ্য বৃন্দাবনপুর

0

রাউজান উপজেলার ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বৃন্দাবনপুর। এর পাশে পার্বত্য কাউখালী উপজেলার বার্মাছড়ি, শুকনাছড়ি, ডাবুয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, লক্ষীছড়ি এলাকা। এই পার্বত্য এলাকার সংরক্ষিত বন থেকে প্রতিনিয়ত সেগুন, গর্জন, গামারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে কাঠ পাচার করছে একটা চক্র। আর দুর্গম হওয়াতে বৃন্দাবনপুর কাঠপাচারে স্বর্গরাজ্য পাচারকারীদের কাছে।

কাঠ পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ডাবুয়া খালের পানির স্রোতে বাঁশের চালার সাথে ভাসিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ রাউজানের বৃন্দাবনপুর এলাকায় এনে স্তূপ করে রাখে।

এরপর এই কাঠ জিপ ও ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। রাউজানের বৃন্দাবনপুর, বৃকবানপুর, ওয়াহেদের খীল, দক্ষিণ ক্ষিরামে বন বিভাগের গড়ে তোলা সংরক্ষিত বাগান থেকেও নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে।

দেড় বছর আগে বৃন্দাবনপুর এলাকায় বন বিভাগের বাগান থেকে গাছ কাটার সময় বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিলে পাচারকারী চক্রের সদস্যদের হামলায় বন বিভাগের কর্মকর্তা প্রদীপ শীল আহত হন। বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে প্রতিনিয়ত কাঠ পাচার হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।

পাচারকারী চক্রের সঙ্গে রাউজানের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে । বৃন্দাবনপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেগুন গর্জন গামারি কাঠের স্তূপ । সেগুন কাঠগুলো কোথা থেকে আনা হয়েছে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট একজন এক উপজাতীয় যুবককে দেখিয়ে দিয়ে জানায়, অস্ত্রধারী ওই উপজাতীয় যুবক আপনাকে হত্যা করতে পারে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জের পশ্চিম রাউজান বন বিভাগের চেক পোস্টের স্টেশন অফিসার আবদুর রশিদ বলেন, বৃন্দাবনপুর আমার আওতাধীন এলাকা নয় । এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না।

জয়নিউজ/আরসি
KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM