চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমান (বিজি-১৪৭) ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারীকে আহত অবস্থায় আটক করেছে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ কমান্ডো টিম। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, ‘সন্দেভাজন’ ওই যাত্রীর আবদার ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিলে তিনি ধরা দেবেন। পরে তার কথায় সাড়া দিয়ে কৌশলে তাকে আটক করে কমান্ডো টিম। ধারণা করা হচ্ছে, ওই যাত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ কমান্ডো টিম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি আকমল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে বিমানটি ছেড়ে যাওয়ার পর একজন যাত্রী ককপিটে ঢুকে পাইলটকে পিস্তল ধরে বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলিয়ে দিতে হবে। পাইলট ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে বিমানটি নিয়ে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করেন।
অভিযান শেষে এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম থেকেই ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং উনার নির্দেশনা মতোই আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং বিমানের কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খি বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি রোববার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামার পর এটি ঘিরে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর যাত্রী ও পাইলটদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। পরে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম।
এদিকে, এ ঘটনায় শাহ আমানত বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দরের ভেতরের সড়কসহ আশপাশের সড়কে যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের যানবাহন ছাড়া অন্য যানবাহন এখানে চলছে না।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ১৪৭ যাত্রী নিয়ে বিমানটি ছেড়ে যায়। এরমধ্যে ৮৬ জন ছিলেন দুবাইগামী যাত্রী। বাকি ৬১ জন অভ্যন্তরীণ যাত্রী, যাদের চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল।